‘ভীষণ এক্সাইটেড ও নার্ভাস’

আগের সংবাদ

নির্বাচন ঘিরে বারবার নির্যাতন : ইস্যু যাই হোক হামলার লক্ষ্যবস্তু ‘সংখ্যালঘু’, স্বার্থ উদ্ধারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘ধর্ম’

পরের সংবাদ

নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন : এক বছরের মাথায় ধসে গেল যমুনার বামতীর সংরক্ষণ বাঁধ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোরাদুজ্জামান মোরাদ, ইসলামপুর (জামালপুর) থেকে : ইসলামপুরে যমুনা নদীর বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের এক বছরের মাথায় ধস দেখা দিয়েছে। উপজেলার কুলকান্দি হার্ডপয়েন্ট থেকে গুঠাইল হার্ডপয়েন্টের মাঝামাঝি এলাকার অন্তত ৯০ মিটার বাঁধের সিসি ব্লক নদীতে বিলীন হয়েছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন যমুনার তীরবর্তী মানুষ। হুমকির মুখে পড়েছে, কুলকান্দি বাজার, শামছুন্নাহার উচ্চ বিদ্যালয়, দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চারটি মসজিদ, বসতবাড়িসহ কয়েক হাজার ফসলি জমি।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, যমুনার ভাঙন প্রতিরোধে দেওয়ানগঞ্জের ফুটানী বাজার থেকে সরিষাবাড়ি উপজেলার পিংনা পর্যন্ত তিনটি পয়েন্টের মধ্যে ইসলামপুরের কুলকান্দি হার্ডপয়েন্ট থেকে গুঠাইল হার্ডপয়েন্টের আড়াই হাজার মিটারের জন্য ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনার বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্প নামে ১টি তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০২০ সালের জুন মাসে কাজ শেষ হয়।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, গত একবছর আগেই বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাঁধ ভেঙে নদীতে বিলীন হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা বলছেন খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে পরিদর্শন করা হয়েছে এবং শুক্রবার বিকাল থেকে ভাঙন রোধে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হবে। কুলকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জুবাইদুর রহমান দুলাল বিএসসি জানান, একটি শক্তিশালী বালু সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় যমুনার বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ধস দেখা দিয়েছে। বাঁধ ভাঙন রোধে অতিদ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানান, বিষয়টি আমি জানি না, আপনার মাধ্যেই জানতে পারলাম। জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, যমুনা নদীতে নতুন চ্যানেল সৃষ্টি হওয়ায় তীর রক্ষা বাঁধের ৯০ মিটার অংশ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়