‘ভীষণ এক্সাইটেড ও নার্ভাস’

আগের সংবাদ

নির্বাচন ঘিরে বারবার নির্যাতন : ইস্যু যাই হোক হামলার লক্ষ্যবস্তু ‘সংখ্যালঘু’, স্বার্থ উদ্ধারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘ধর্ম’

পরের সংবাদ

ঘাটতি বাজেট পূরণ বাফুফের বড় চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী ঝিমিয়ে পড়েছিল ফুটবল। তবে সম্প্রতি এ ভাইরাসের তাণ্ডব কমার ফলে চাঙ্গা হয়েছে বিদেশি ফুটবল। এমনকি মাঠে ফিরেছে দর্শক। সেই সুবাদে বিপুল অর্থ আয় করছে বিদেশি ক্লাবগুলো। কিন্তু বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আর্থিক ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে বার্ষিক সাধারণ সভা করে নিজেদের আয়-ব্যয়ের হিসাব জানিয়েছে বাফুফে। তবে এদিন দেশের ফুটবল নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, কোভিডের কারণে গতবার পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে সেভাবে সাড়া পাইনি। আমাদের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। তাই ঘাটতি বাজেট পূরণ বাফুফের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি আমরা।
এদিকে বাফুফের সাধারণ সভায় গত বছরের আয় দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। ব্যয় ছিল ২৩ কোটি ২২ লাখ আর ঘাটতি ৮ লাখ টাকা। এছাড়া নতুন বছরে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ কোটি টাকার বেশি। যদিও আয় ২৪ কোটি টাকার মতো। ১৭ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে এখানেও। কিন্তু গতকাল সভা শেষে বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিন বলেন, শেষ এক বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব আমরা উপস্থাপন করেছি। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতের বাজেট দিয়েছি। সবাই অনুমোদন দিয়েছে। কার কী সমস্যা আছে, এটা নিয়েও আলোচনা করেছি। শান্তিপূর্ণভাবে কংগ্রেস হয়েছে। আমরা খুশি সবাই। তবে ঘাটতি বাজেট পূরণ বাফুফের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি আমরা। আমি আশা করছি সফল হব।

বাফুফের আর্থিক বছর শুরু হয় জানুয়ারি থেকে এবং শেষ হয় ডিসেম্বরে। গত অর্থ বছরে বাফুফের আয় ছিল ১৫ কোটি ৬৭ লাখ ৬৩ হাজার ৫৫৯ টাকা এর বিপরীতে ব্যয় ছিল ২৩ কোটি ২২ লাখ ৮৪ হাজার ১৯১ টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার বাফুফের প্রস্তাবিত ব্যয়ের অঙ্ক অনেক বেশি। জাতীয় দল, লিগসহ নানা খাতে বাফুফে বরাদ্দ বাড়িয়েছে। গতকাল বার্ষিক সাধারণ সভায় জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, এ বছর বাফুফের আয় ১৫ কোটি টাকা। ব্যয় ২৪ কোটি। ৯ কোটি টাকা ঘাটতি। ২০২২ সালে বাফুফের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ কোটি টাকার বেশি। যেখানে আয় হতে পারে ২৫ কোটি টাকা। এখানে প্রায় ১৭ কোটি টাকা ঘাটতি। এটা পূরণ করা বাফুফের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা বিভিন্ন স্পনসর থেকে সহযোগিতা নিয়ে এই ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করব।
দেশের ফুটবলে পৃষ্ঠপোষকতা খুবই কম। এ বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। বাফুফে চতুর্থবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সালাউদ্দিন। তার অধীনে নির্বাহী কমিটির এক বছর পূর্ণ হয়েছে। তাই বার্ষিক সাধারণ সভা করে নিজেদের আয়-ব্যয়ের হিসাব জানিয়ে দিয়েছে সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন পরিষদ। ১৭ কোটি টাকা ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে কতটা সফল হবে বাফুফে তা বছর শেষে বোঝা যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়