দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন : বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত ৮১ জন চেয়ারম্যান

আগের সংবাদ

সম্প্রীতির জমিনে শকুনের চোখ

পরের সংবাদ

গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রী : শীতে করোনা বাড়তে পারে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শীতে আবার করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সেজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দেখা যাচ্ছে যখনই শীতকাল আসছে, পৃথিবীর সব দেশেই আবার করোনা ভাইরাস দেখা দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড বা ইউরোপের দেশগুলোয় এর প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। কাজেই বাংলাদেশের সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য আমি অনুরোধ করছি। কেননা শীতকাল এলেই একটু ঠান্ডা লাগে, সর্দি, কাশি হয়। আর এটা হলেই এই করোনা ভাইরাস সাইনাসে গিয়ে বাসা বানাতে পারে। কাজেই সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। মাস্ক পরতে হবে, খাদ্য তালিকায় ‘ভিটামিন সি’ যাতে বেশি থাকে আর যাতে ঠান্ডা না লাগে, সেদিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি মৌসুমি ফলমূল, শাকসবজি এবং তরিতরকারি বেশি খেতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে শীত মৌসুমের আগে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকের (বিএবি) পক্ষ থেকে দুস্থদের জন্য ২৬ লাখ ৪৫ হাজার কম্বল গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ৩৭টি বেসরকারি ব্যাংকের কাছ থেকে এ কম্বল নেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। মুখ্য সচিব প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের জন্য ১০ লাখ টাকার চেকও নেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, টিকা দেয়ার পরে কারো করোনা হলে তার হয়তো ক্ষতির পরিমাণটা বেশি হবে না। তবে তার থেকে ছড়াতে পারে। তাই মাস্ক ব্যবহার করতেই হবে। সবাইকে সতর্ক করার বিষয়ে প্রচার-প্রচারণাটা দরকার। একটু সতর্ক হলে এই করোনা ভাইরাস আর বাংলাদেশের মানুষের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসকে আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। টিকা সংগ্রহ করে সারাদেশে টিকাদান

অব্যাহত রয়েছে। আজকেও সারাদেশে ৮০ লাখ টিকাদানের কার্যক্রম চলছে। ছাত্রসমাজ এবং স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে। কেউ বাদ যাবে না। নীতিমালা অনুযায়ী যারা টিকা পাওয়ার যোগ্য বাংলাদেশের সেই সব মানুষই টিকা পাবে। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় নাগাদ আমরা সব মানুষকেই টিকা দিতে সক্ষম হব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এলেও বাংলাদেশে কোনো কিছু যাতে স্থবির না হয় এবং সচল থাকে, আমরা সেই চেষ্টাই করেছি। সেদিক থেকে আমি মনে করি, বাংলাদেশ যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতা আমাদেরকে স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। কাজেই এই দেশ উন্নত সমৃদ্ধ হোক, দারিদ্র্যমুক্ত হোক এবং তৃণমূলের মানুষটিরও ক্রয়ক্ষমতা বাড়–ক। যত বেশি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে, তত বেশি ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। নতুন বাজার সৃষ্টি হবে। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াব। বিশ্ব দরবারে আমরা একটা অবস্থান করে নেব। কারণ আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। কাজেই সবসময় মাথা উঁচু করেই আমরা চলব।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পরেই বিভিন্ন ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দেয়। যাতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতও শক্তিশালী হয়। তারা দেশের মানুষের সেবা করতে পারে এবং আরো কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। আর এই পদক্ষেপ দেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়