দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন : বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত ৮১ জন চেয়ারম্যান

আগের সংবাদ

সম্প্রীতির জমিনে শকুনের চোখ

পরের সংবাদ

এক রাতে তিন জায়ান্টের হার

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ফুটবলে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ইউরোপের লিগগুলো। এখানে একচ্ছত্র রাজত্ব করেন বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ, ম্যানচেস্টার সিটির মতো ক্লাবগুলো। তবে এ আধিপত্য বিস্তারকারী ক্লাবগুলোও হারের মুখ দেখে। ইএফএল কাপে গত রাতে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে হেরে আসর থেকে বিদায় নিল ইংলিশ জায়ান্ট ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে পেনাল্টিতে ৫-৩ গোল ব্যবধানে হারেন পেপ গার্দিওয়ালার শিষ্যরা। অন্যদিকে ডিএফবি-পোকাল কাপে জার্মান জায়ান্ট ক্লাব ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় মুনশেনগøাডবাখের বিপক্ষে। বড় ব্যবধানে প্রতিপক্ষ দলকে বিধ্বস্ত করা দলটি ৪৩ বছর পর এমন বড় হারের স্বাদ পেল। এদিকে ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাব বার্সেলোনা। লা লিগায় গত রাতে রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে ১-০ গোলে হারেন মেসির সাবেক সতীর্থরা। একই দিন হোঁচট খায় আরেক জায়ান্ট ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরের মাঠে ওসাসুনার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে তারা।
সর্বশেষ চার মৌসুমে ইএফএল লিগ কাপের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। যৌথভাবে প্রতিযোগিতাটির রেকর্ড শিরোপাজয়ীও। কিন্তু এবার শিরোপা লড়াইয়ের ধারেকাছেও যেতে পারলেন না গার্দিওয়ালার শিষ্যরা। ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের বিপক্ষে হেরে চতুর্থ রাউন্ড থেকেই ছিটকে যায় ইংলিশ জায়ান্ট ক্লাবটি। ওয়েস্ট হ্যামের লন্ডন স্টেডিয়ামে গত রাতে ম্যান সিটিকে টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠে ওয়েস্ট হ্যাম। দর্শকে ঠাসা স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময় গোলশূন্য ড্র হওয়ার পর টাইব্রেকারে গড়ানো লড়াইয়ে ওয়েস্ট হ্যামের ফল নির্ধারক স্পট কিকে গোলটি করেন আলজেরিয়ার উইঙ্গার সাইদ বেনরাহমা। এর আগে সিটির ফিল ফোডেনের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে এগিয়ে যায় ওয়েস্ট হ্যাম। দলে ৯ পরিবর্তন এনে খেলতে নামা সিটি অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশ্যে ২৫টি শট নেয়, যার সাতটি ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু ৯০ মিনিটে কাক্সিক্ষত জালের দেখা পায়নি তারা। ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১ মৌসুম পর্যন্ত টানা চারবার এ প্রতিযোগিতার শিরোপা জিতেছে সিটি।
২০১৬-১৭ মৌসুমে ক্লাবটির দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম মৌসুম বাদে প্রতিবারই এই শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন গার্দিওলা। লিগ কাপ কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সব ধরনের প্রতিযোগিতায় প্রতিপক্ষকে গোলে বন্যায় ভাসিয়ে দেয়া জার্মান জায়ান্ট ক্লাব এবার নিজেরাই বিধ্বস্ত হলো বড় ব্যবধানে।

ক্লাব ইতিহাসে গত ৪৩ বছরে সবচেয়ে বড় হারের তেতো স্বাদ পেয়ে জার্মান কাপের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছে জার্মানির ঐতিহ্যবাহী দলটি। প্রতিযোগিতাটিতে গত রাতে বরুশিয়া মুনশেনগøাডবাখের মাঠে ৫-০ গোলে হারে বায়ার্ন মিউনিখ। দ্বিতীয় মিনিটেই স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন কোনে। পুরো ম্যাচে গোলের উদ্দেশে মুনশেনগøাডবাখের ১৩ শটের ছয়টি ছিল লক্ষ্য, এর পাঁচটিতেই মেলে গোল। আর বায়ার্নের ১৫ শটের আটটি লক্ষ্যে থাকলেও সাফল্য মেলেনি। কদিন আগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় এ ম্যাচেও ডাগআউটে ছিলেন না বায়ার্ন কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমান। তবে মাঠে নেমেছিল পূর্ণ শক্তি দলই। গোলপোস্টের নিচে ম্যানুয়েল নয়ার, আক্রমণভাগে ছিলেন রবার্ট লেভানদোভস্কি, লেরয় সানে, টমাস মুলার, জিনাব্রিরা। নাগেলসমানের কোচিংয়ে এটি বায়ার্নের দ্বিতীয় হার। ৮৫ ম্যাচ পর গোল করতে ব্যর্থ হলো দলটি। বায়ার্ন সর্বশেষ অন্তত পাঁচ গোলের ব্যবধানে কোনো ম্যাচ হেরেছিল ১৯৭৮ সালে, বুন্ডেসলিয়ায় ফরটুনা ডুসেলডর্ফের বিপক্ষে ৭-১ ব্যবধানে। আর তাদের সবচেয়ে বড় হার ১৯৭৬ সালে লিগ ম্যাচে ঘরের মাঠে শালকের বিপক্ষে ৭-০ গোলে। তবে মুনশেনগøাডবাখের বিপক্ষে এই ৫-০ গোলের হার ডিএফএল পোকাল কাপে তাদের সবচেয়ে বড় হার। এই প্রতিযোগিতায় রেকর্ড ২০ বারের চ্যাম্পিয়ন তারা।
এদিকে প্রতিপক্ষের মাঠে গত রাতে লা লিগার ম্যাচটি ১-০ গোলে হেরেছে রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যরা। স্বাগতিকদের জয়সূচক গোলটি করেন রাদামেল ফালকাও। লা লিগায় এই নিয়ে টানা দুই ম্যাচ হারল বার্সেলোনা, শেষ চার ম্যাচে তিনটি। এর আগে গত রবিবার ঘরের মাঠে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে হারে পিকে-বুসকেতসরা। পুরো ম্যাচে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশ্যে ১৬টি শট নেয় বার্সেলোনা, যদিও কেবল একটিই ছিল লক্ষ্যে। আর ভায়েকানোর ১৩ শটের তিনটি লক্ষ্যে ছিল। দুদিনের ব্যবধানে ফ্রেংকি ডি ইয়ং ও আনসু ফাতিকে হারানোর ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি বার্সা। ৩০তম মিনিটে মাঝমাঠে তাদের অধিনায়ক সার্জিও বুসকেতসের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে সামনে বাড়ান অস্কার ত্রেহো। আর ফালকাও বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে সঙ্গে লেগে থাকা পিকেকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন। প্রথমার্ধে ৭০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশ্যে ছয়টি শট নেয়। কিন্তু তার একটিও ছিল না লক্ষ্যে। ৭২তম মিনিটে পেনাল্টি পেয়েও দলকে সমতায় ফেরাতে ব্যর্থ হন মেমফিস। তিনি নিজেই ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। তবে তার স্পট কিক ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ফেরান নর্থ মেসিডোনিয়ার গোলরক্ষক স্তই দিমিত্রিয়েস্কি। লা লিগায় ১০ ম্যাচে চার জয় ও তিন ড্রয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে আছে তারা।
অন্যদিকে সান্তিয়াগো বার্না ব্যু’তে গত রাতে লা লিগার ওসাসুনার বিপক্ষে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র করেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে নিজেদের মাঠে টানা তিন ম্যাচে জয়হীন রইল রিয়াল। গত মাসে এখানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেরিফ তিরাসপুলের বিপক্ষে তারা হেরেছিল ২-১ গোলে। তার আগে ঘরোয়া লিগে গোলশূন্য ড্র করেছিল ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে। এই মাসের আন্তর্জাতিক বিরতির পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শাখতার দোনেস্কের মাঠে ৫-০ গোলে ও গত রোববার ক্লাসিকোয় ক্যাম্প ন্যু’তে বার্সেলোনার বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতে ঘুরে দাঁড়ায় রিয়াল। কিন্তু ঘরের মাঠে ফিরেই আবার বিবর্ণ তারা। পয়েন্ট হারালেও তালিকার শীর্ষে উঠেছে রিয়াল। ১০ ম্যাচে ছয় জয় ও তিন ড্রয়ে তাদের ২১ পয়েন্ট।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়