প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
সৈয়দ মনির আহমদ, সোনাগাজী (ফেনী) থেকে : শিশু সোহাগ (১৪)। ঘরে অসুস্থ দিনমজুর বাবা, মা গৃহিণী ও স্কুলপড়–য়া ভাইবোন রয়েছে। এই সময়ে বই-খাতা নিয়ে তারও স্কুলে যাওয়ার কথা। কিন্তু দরিদ্রতার কষাঘাতে কচি হাতে অটোরিকশার শক্ত হ্যান্ডেল ধরে রোজগারে নামতে হয়েছে তাকে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষ সে। সোনাগাজী পৌর শহরে অটোরিকশা চালায় সোহাগ। সারা দিন যা পায় তা থেকে
মালিককে ৫০০ টাকা জমা দিতে হয়। অবশিষ্ট ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বাজার করতে হয়। এভাবেই প্রতিটি দিন পার হয় সোহাগের।
সোহাগ জানায়, আমি একা নই। রাস্তায় চলতে আমার মতো অনেক খোকাকে দেখতে পাবেন। আমার পরিবারের সঙ্গে অনেকের পরিবারের অবস্থার মিল পাবেন। পরিবারের জন্যই আমরা পথে নেমেছি।
জানা যায়, সরকারিভাবে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ হলেও সোনাগাজী উপজেলার খাবার হোটেল, ইটভাটা, ওয়ার্কশপসহ উৎপাদনমুখী প্রায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে শিশু শ্রমিক দেখা যায়। উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় শিশুচালকদের সংখ্যা। যাত্রীদের মতে, এসব শিশুচালকের গাড়িতে নিরুপায় হয়ে যাত্রী হতে হচ্ছে।
পলাশ অটোরিকশা কোম্পানির স্বত্বাধিকারী নুরুল আমিন জানান, এসব শিশুকে যারা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দিয়ে রাস্তায় নামানোর সুযোগ দেয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
সোনাগাজী পৌর মেয়র জানান, অটোরিকশা মালিক ও চালকদের সমিতির সভা-সমাবেশে আমি বারবার শিশুশ্রম বন্ধের ব্যাপারে বলেছি। সংশ্লিষ্টদের তদারকি না থাকায় পৌর শহরের আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় শিশুচালক। দুস্থ এসব পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান। বিকল্প ব্যবস্থা করে যেন সংশ্লিষ্টরা অভিযান পরিচালনা করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এম জহিরুল হায়াত জানান, শিশুশ্রম বন্ধে সরকারের কঠোর নির্দেশনা আছে। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।