কাগজ প্রতিবেদক : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে, গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস, প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যগুলো অর্জন এবং প্যারিস রুলবুকের চূড়ান্ত করার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে বাঁচাতে প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন জরুরি। এ সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রতিশ্রæতিবদ্ধ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গতকাল মঙ্গলবার ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ), ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) এবং গেøাবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশনের (সিসিএ) উদ্যোগে ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম-গেøাবাল পার্লামেন্টারি গ্রুপ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বৈশ্বিক জলবায়ুর বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
অনারারি আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জিসিএ সভাপতি বান কি মুন, আইপিইউ মহাসচিব মার্টিন চুংগঙ, মালদ্বীপের স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ, ফিলিপাইনের ডেপুটি স্পিকার লরেন লেগার্দা এবং ইউকে হাউস অব কমন্সের সাংসদ ডেরেন জোন্স বক্তব্য রাখেন। সিভিএফ প্রেসিডেন্সি অব বাংলাদেশের স্পেশাল এনভয় আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের সম্মানিত ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ফোরামে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন, সেখানে তিনি এসব দেশের

প্রতিনিধিত্ব করেন। তাই আমরা কপ-২৬ প্ল্যাটফর্মে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য ত্বরিত সমাধান হিসেবে ভর্তুকির আহ্বান জানিয়েছি। বাংলাদেশে শক্তির স্বাধীনতা অর্জন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং শক্তিবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারে ইতোমধ্যে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান’ গৃহীত হয়েছে। প্ল্যানিটারি ইমার্জেন্সি মোকাবিলার মাধ্যমে গ্রহ রক্ষা এবং এর যথাযথ সংরক্ষণে বৈশ্বিক সম্মিলিত প্রয়াস অত্যন্ত জরুরি।