পাসপোর্ট জটিলতায় আটকে আছেন অর্ধলাখ প্রবাসী

আগের সংবাদ

পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ বাড়ছে

পরের সংবাদ

ময়নাতদন্তে হত্যার আলামত : আদালতের নির্দেশে কসবা থানায় মামলা গ্রহণ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : কসবা উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের গনকমুড়া গ্রামে বিয়ে বাড়িতে দই না পাওয়ায় কনের বাবাকে পিটিয়ে হত্যার মামলাটি অবশেষে আদালতের নির্দেশে পুলিশ ১৯ দিন পর রেকর্ড করল। তবে একই দিনে আসা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে হত্যার আলামত পাওয়ায় গত সোমবার সন্ধ্যায় মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ। ফলে পুরো এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। জানা যায়, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল পুলিশকে মামলা না নিতে বাধ্য করেছিল।
কসবা থানার ওসি মুহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া জানান, গত সোমবার নিহত ইকবাল হোসেনের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পর দেখা গেছে তার আঘাতজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। একই দিনে আদালতেরও নির্দেশ আসায় নিহত ইকবাল হোসেনের স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগমের দায়ের করা অভিযোগটিকে হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে কসবা থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমানকে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ অক্টোবর নিহত ইকবাল হোসেনের মেয়ে কারিমা আক্তারের (২০) পার্শ্ববর্তী বিষ্ণাউড়ী গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে পারভেজ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের দিন দই খাওয়া নিয়ে বর পক্ষের লোকদের সঙ্গে কনে পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন (৬ অক্টোবর) রাত ১০টার সময় গনকমুড়া হারুনের চায়ের দোকানে কনের বাবা ইকবাল হোসেনকে বিষ্ণাউড়ী গ্রামের মান্নাফ ও হান্নান সর্দারসহ তার লোকজন দুই দফা হামলা করে।
কনের বাবা ইকবাল হোসেনকে একা পেয়ে হান্নান সর্দারের বাড়ির ১৪-১৫ জন লোক এসে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে গুরুতর আহত করে। তাকে হাসপাতাল নিয়ে যেতে পথে ব্যারিকেডও সৃষ্টি করে হামলাকারীরা। একপর্যায়ে বিষ্ণাউড়ী গ্রামে সদ্য বিবাহিত ইকবাল হোসেনের মেয়ে কারিমার স্বামীর বাড়িতেও এসব দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে ক্ষতিসাধন করে। পরে গোপিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হরমুজ আলীর সহযোগিতায় ইকবাল হোসেনকে কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়