পাসপোর্ট জটিলতায় আটকে আছেন অর্ধলাখ প্রবাসী

আগের সংবাদ

পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ বাড়ছে

পরের সংবাদ

পরিবহন মন্ত্রণালয়কে স্থায়ী কমিটির ভর্ৎসনা : আপনারা মেধা কাজে লাগিয়ে তামাশা করছেন!

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি ও নানাবিধ অনিয়মে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। এ নিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়কে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছে কমিটি। মেয়াদ ফুরালেও প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি; ওই কাজ কবে শেষ হবে জানতে চাইলে নিরুত্তর থাকে মন্ত্রণালয়। পরে সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে আগামী এক মাসের মধ্যে সার্বিক বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এসব নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটির সভাপতি মো. আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন, এ বি তাজুল ইসলাম, আহসান আদেলুর রহমান, ওয়াসিকা আয়শা খান এবং খাদিজাতুল আনোয়ার অংশ নেন। বৈঠকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীন ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জ জোন এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ব্যর্থতার অজুহাত হিসেবে কৈফিয়তমূলক মত ও যুক্তি দিলেও কমিটি তাতে সন্তুষ্ট হয়নি। মন্ত্রণালয় জানায়, কয়েকটি প্রকল্পে ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। অবশ্য কমিটি ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ বাড়ানোকেও এক ধরনের অনিয়ম বলে উল্লেখ করে। এ বিষয়ে কমিটি বলে, প্রকল্প সময়মতো শেষ না হওয়ায় জনগণ তো সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি আব্দুস শহীদ বলেন, আমাদের কাছে যে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে- প্রকল্পের আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি সমান। কিন্তু কোনোভাবেই এটি সমান হওয়ার কথা নয়। এক শতাংশ হলেও তো পার্থক্য থাকবে। এসব বিষয়ে তারা গ্রহণযোগ্য যুক্তি দিতে পারেনি। অনেক প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি। কোথায় কী অনিয়ম বা সমস্যা হয়, আমরা এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছি। আমরা বলেছি, আপনারা মেধা কাজে লাগিয়ে তামাশা করতেছেন।
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে সড়কের ঢাকা জোনের অসমাপ্ত ৯টি প্রকল্পের সময় বৃদ্ধির কারণ ও ব্যাখ্যাসহ প্রতিবেদন কমিটির কাছে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন থেকে মাওয়া পর্যন্ত এবং পাচ্চর-ভাঙ্গা প্রকল্পে কাজ শেষ না হওয়ার কারণও তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানোর সুপারিশ করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়