ইজিবাইকচালককে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬ : মাদকের টাকা জোগাতে ছিনতাই

আগের সংবাদ

ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে ডিজিটাল ছোঁয়া

পরের সংবাদ

যৌক্তিক সমাধান

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পরাধীন ব্রিটিশ-ভারত থেকে পাকিস্তানের কালো অধ্যায় পেরিয়ে জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের। এই মহান অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের মোড় ঘোরানো নানা ঘটনা, যার কারিগর হিসেবে কেউ আখ্যায়িত হয়েছেন নায়কের অভিধায়; কেউবা আবির্ভূত হয়েছেন খলনায়কের চরিত্রে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে সেসব ঘটনা ও তার নায়ক-খলনায়কদের কার কী ভূমিকা, তাই নিয়েই অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গ্রন্থ ‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’। স¤প্রতি ভোরের কাগজ প্রকাশন থেকে বের হয়েছে বইটি। এ বই থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন কিছু অংশ তুলে ধরা হচ্ছে ভোরের কাগজের পাঠকদের জন্য।
পাকিস্তানি সরকার টিক্কা খানকে সরিয়ে বাঙালি গভর্নর নিযুক্ত করে এমন একটা ধারণা দেয়ার প্রয়াস চালিয়েছিল যাতে পৃথিবীর লোক ভাবতে পারে পূর্ব পাকিস্তানে বেসামরিক প্রশাসন চালু করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বিলম্বে গৃহীত হওয়ার ফলে কেবলমাত্র মুক্তিবাহিনীকে দীর্ঘসময় ধরে সংগঠিত হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। মুক্তিবাহিনীর ক্রমবর্ধমান শক্তি সঞ্চয় সত্ত্বেও ‘র’ পরিষ্কারভাবে এই রিপোর্ট দেয় যে, দীর্ঘ সময় ধরে হলেও মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে হটাতে পারবে না। মিলিটারি অ্যাকশানই হবে এর যৌক্তিক সমাধান।
পাকিস্তানের যুদ্ধ ঘোষণা :
৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৫-৩০ মিনিটে ইয়াহিয়া খান সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করে পরিস্থিতির যথার্থতা প্রমাণ করেন। সময়ের দিক থেকে বিবেচনা করে পাকিস্তানের যুদ্ধ ঘোষণা নয়াদিল্লির নিকট অপ্রত্যাশিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী তখন কলকাতায়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগজীবন রাম তখন বিহারে তার নির্বাচনী এলাকায়, অর্থমন্ত্রী বোম্বাই শহরে এবং প্রেসিডেন্ট ভি ভি গিরি তখন পার্লামেন্ট হাউসে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত- এমন সময় বিমান আক্রমণের সতর্কীকরণ সাইরেন শোনা গেল। পশ্চিমাঞ্চলে পাকিস্তানি আক্রমণের সংবাদ শুনে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী রাজধানী ফিরে এলেন। ঐ একই রাতে আর্মি হেড কোয়ার্টারে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল অরোরা ‘গো এহেড’ মেসেজ পেলেন। কিছু পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে বললেন, ‘বাংলাদেশের যুদ্ধ ভারতের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।’ ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট শীঘ্রই ফলদায়ক হয়ে উঠল। ২ ডিসেম্বর পেশোয়ার হতে ‘র’ এজেন্ট রিপোর্ট করেছিল, পুঞ্চ এলাকার দিকে পাকিস্তানের ৭ম ডিভিশন অগ্রসর হচ্ছে। সিগন্যাল পেয়ে ইস্টার্ন হেড কোয়ার্টার কমান্ডের জেনারেল অরোরা ও ‘র’-এর আন্ডার গ্রাউন্ড নেটওয়ার্ক সক্রিয় হয়ে ওঠে। পূর্ব পাকিস্তানে গোপনভাবে প্রেরিত অনুপ্রবেশকারীদের ট্রান্সমিশন সেটসমূহ পাকিস্তানিদের শত্রæ ঘাঁটি সম্পর্কে সংবাদ প্রেরণে গুঞ্জরিত হতে থাকে। পূর্ব পাকিস্তানের ভূ-

রাজনৈতিক প্রাণ কেন্দ্র ঢাকা হলো মূল টার্গেট। ১২ দিনের যুদ্ধে যা নব ইতিহাস সৃষ্টি করবে এটা ছিল তারই সূচনা।
আগামীকাল প্রকাশিত হবে ‘বাই পাস : ঢাকার পতন’ ‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’-বইটি পাওয়া যাচ্ছে ভোরের কাগজ প্রকাশনে (ভোরের কাগজ কার্যালয়, ৭০ শহীদ সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা)। এছাড়া bhorerkagojprokashan.com থেকেও সংগ্রহ করা যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়