ইজিবাইকচালককে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬ : মাদকের টাকা জোগাতে ছিনতাই

আগের সংবাদ

ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে ডিজিটাল ছোঁয়া

পরের সংবাদ

বোলিং-ফিল্ডিংয়ে আরো মনোযোগী হতে হবে

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিং ভালো হয়েছে। বেশ কিছু দিন আগে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে যে অবস্থা দেখেছি, সেই তুলনায় লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটিং অনেক ভালো হয়েছে। মুশফিকুর রহিমের রানে ফেরা ভালো লেগেছে। সব বিবেচনায় বাংলাদেশের ১৭১ রান সংগ্রহ মন্দ ছিল না। তবে আরো ১০ থেকে ১৫ রান বেশি হলে ভালো হতো। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের শুরুটা যেমন ছিল মাঝে একটু স্লো না হলে ১৮০-১৮৫ রান হলে লঙ্কানরা ভড়কে যেত। নাঈম-মুশফিকের ব্যাটিং দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, বাংলাদেশ বড় সংগ্রহের পথে

এগোচ্ছে। ব্যাটিং অর্ডারে ম্যাচের ৪ ওভারের মতো বাকি থাকতে মাহমুদউল্লাহ নিজে না এসে আফিফকে পাঠালেন। এক্ষেত্রে অধিনায়ককে ব্যাট হাতে মাঠে নামা উচিত ছিল। কারণ তার হাতে মার ছিল। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ২৭ বলে ফিটটি করেছিলেন তিনি। লঙ্কার বিপক্ষে ওই মুহূর্তে আফিফকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না।
বাংলাদেশের বোলিংটা গোছানো ছিল না। ফিল্ডিং যত ভালো হবে, বোলিংও তত ভালো হবে। লিটন দুটি ক্যাচ নিতে পারলে ম্যাচের মোড় ঘুরে যেত বলেই মনে হয় আমার। একটি ক্যাচ ছিল আসালাঙ্কার, অন্যটি ভানুকা রাজাপক্ষের। এ দুজনই তো ম্যাচটি বাংলাদেশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। নাসুম শুরুতে তার কাজটা করে দিয়েছেন। তবে এমন উইকেটে ১৭১ রান নিয়ে জিততে হলে বোলিংয়ের সঙ্গে ফিল্ডিংয়েও ভালো করতে হয়। শুরুতে রানআউটের সুযোগও হাতছাড়া করেছে টাইগাররা।
সাকিব তার অভিজ্ঞতা দিয়ে বাংলাদেশকে ঠিকই ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন যে একটি ওভারে ২২ রান দিয়েছে, সেটা একটু বেশিই ব্যয়বহুল হয়ে গেছে। এছাড়া সেই ওভারে যে রকম বল করা উচিত ছিল, তা সে পারেনি। ওই ওভারে তার উচিত ছিল ইয়র্কার বল করে বা পায়ের কাছে বল করে বাউন্ডারি আটকে রাখা। উইকেট না নিতে পারলেও চলত। প্রথম ওভারটা বাজে হলেও মোস্তাফিজকে আরেকটা ওভার করানো উচিত ছিল সে সময়। সে টি-টোয়েন্টির চ্যাম্পিয়ন বোলার। তার ওপর আস্থা তো রাখাই যায়। অন্যদের হাতে বল না তুলে দিয়ে মাহমুদউল্লাহ নিজে বল তুলে নিয়ে ভুল করেননি। আফিফকে ৩ ওভার করানোর সিদ্ধান্ত অনেকের কাছে ভুল মনে হলেও আমি মনে করি সঠিক। ওই মুহূর্তে উইকেট পেলে এত সমালোচনা হতো না।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো করার কথা ভাবতে হবে। বিশেষ করে বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে মনোযোগ দিতে হবে।
এদিকে পাক-ভারত ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিল টস। রাতের ম্যাচে পাকিস্তান টস জিতে ভারতকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে শুরুতেই আফ্রিদি রোহিত শর্মাকে সাজঘরে ফিরিয়ে ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপে যে ধাক্কা দিয়েছেন, তা কাটিয়ে উঠতে পারেননি বিরাট কোহলিরা। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে না জেতায় এবার ভারতীয় ব্যাটসম্যান-বোলারদের আটকানো পরিকল্পনা করে মাঠে নেমেছিল। পাকিস্তান যোগ্যতর দল হিসেবে জয় পেয়েছে। আজ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে দুই দলের জয়ের সম্ভাবনা ফিটটি-ফিটটি। যে দলই জয় পাক না কেন, বেশ ঘাম ঝরাতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়