ইজিবাইকচালককে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬ : মাদকের টাকা জোগাতে ছিনতাই

আগের সংবাদ

ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে ডিজিটাল ছোঁয়া

পরের সংবাদ

বিনিয়োগের খরা কাটবে সামিটে : রিজওয়ান রাহমান সভাপতি, ডিসিসিআই

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেছেন, বিভিন্ন সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশগুলোতে রোড শো করা হয়েছে। আবার কখনো কখনো বিদেশিদের এদেশে নিয়ে আসা হয়েছে। দুই জায়গাতেই দেখা গেছে, বিদেশিদের চেয়ে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীই বেশি থাকে। গতকাল সোমবার ভোরের কাগজকে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজওয়ান রাহমান বলেন, দ্বিপক্ষীয় খরচ কমিয়ে কীভাবে দেশে বিদেশি বিনিয়োগের খরা কাটানো যায় সেই পরিকল্পনা করা উচিত। তবে এখনো করোনা মহামারির প্রকোপ কাটেনি। তাই মানুষ এখনো ঘর থেকে বের হতে পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। তাই বলে তো বিনিয়োগ বন্ধ হবে না, বাণিজ্য থেমে থাকবে না।
মহামারির মধ্যেও বর্তমান সরকারের চেষ্টায় আমাদের যে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে, তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতেই ভার্চুয়ালি এ বিশাল বাণিজ্যিক সামিটের আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ সামিট থেকে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে, তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। প্রযুক্তি এখন অনেক এগিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, ভার্চুয়ালিও সফলভাবে ব্যবসা করা সম্ভব। আমরা গত দেড় বছরে শিখেছি, ভার্চুয়ালি আমরা চাইলে অনেক কিছুই করা সম্ভব। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভার্চুয়ালির চেয়ে বড় কোনো সামিট হয়েছে কিনা, আমার জানা নেই। আমাদের এখানে ৩৮টি দেশ থেকে ৫৫২টি কোম্পানি নিবন্ধন করেছে। এবারের সামিটে বাণিজ্য নিয়েই বেশিরভাগ আলোচনা হবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিনিয়োগ নিয়েও কথা বলবেন আলোচকরা। ভিয়েতনাম, চীন, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা- প্রভৃতি দেশ থেকেই বেশিরভাগ অংশ নিচ্ছে। পাশাপাশি আমাদের দেশে দীর্ঘদিন ব্যবসা করছে এমন বড় বড় কোম্পানি যেমন- গ্রামীণফোন, ইউনিলিভার, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মতো কোম্পানিগুলো এখানে কথা বলবে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বলবে, গত পঞ্চাশ বছর ধরে তারা কেন বাংলাদেশে আছে। অথবা ইউনিলিভারের মতো কোম্পানি বলবে, তারা কেন বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ব্যবসা করছে।
রিজওয়ান বলেন, আমরা কিছু বললে আমাদের কথায় বিদেশিরা আকৃষ্ট হবে না। বরং ম্যারিকোর মতো বড় কোম্পানিগুলোর কথা তার দেশের মানুষ শুনবে। তিনি বলেন, আমাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হবে আমাদের সাকসেসফুল ইনভেস্টররা। কোনো মন্ত্রী বা চেম্বার সভাপতি নয়। তিনি আরো বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সরকার চেষ্টা করছে। ওয়ানস্টপ সার্ভিসের উদ্যোগ অবশ্যই অনেক প্রশংসনীয়। তবে সরকারের একার পক্ষে সব করা সম্ভব না। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে এ দেশকে সফলতার দিকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই, সমস্যাগুলোও থাকবে। তবে সামিটে সাত দিনব্যাপী সেমিনার হবে- সেখানে সমস্যা নয় বরং সমাধানের পথ কী তাই নিয়ে আলোচনা হবে। ঢাকা চেম্বারের পক্ষ থেকে আমাদের ইচ্ছা ভুলভ্রান্তি বা সমস্যা চিহ্নিত করা নয়; বরং সমাধান কীভাবে হয় তাই নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়