টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সফল পাঁচ অধিনায়ক : তাইফ রহমান রাফি

আগের সংবাদ

সড়কে নেই ‘ডিজিটাল’ ছোঁয়া

পরের সংবাদ

ফেসবুক-গুগলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি : মোস্তাফা জব্বার

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : গুজব, বিদ্বেষ বা উসকানিমূলক পোস্ট ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আপাতত কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেছেন, আমরা ফেসবুক, গুগলসহ এ ধরনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অব্যাহতভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এতে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি আমাদের বিভিন্ন প্রকল্পেও ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করছি।
এ দেশে সার্ভার ও অফিস স্থাপন করতে ফেসবুক, ইউটিউব, আমাজন, গুগলসহ অন্যরা রাজি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এগুলো তো আমাদের দাবি। আমাদের কন্টেন্টগুলো যাচাই করার জন্য যথাযথ জনবল নিয়োগ দেয়া নিয়েও আমরা কথা বলছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে তারা আসেনি।
গুজব বা উসকানিমূলক পোস্ট ঠেকানোর উপায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ সমস্যা বিশ্বব্যাপী। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশে এ সংকট প্রকট। আমরা আমাদের মতো করে চেষ্টা করছি। ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম (ডট) প্রতিষ্ঠা করেছি। এটা দিয়ে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও ওয়েবসাইটগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। ডট আমাদের জীবনরক্ষাকারী হিসেবে কাজ করছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়টিকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেই। আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছি। যদিও অনেকে ওই আইনকে সমালোচনার চোখে দেখেন। এই আইনটি যদি না হতো, তবে বাংলাদেশ ভয়ংকর এক অবস্থায় গিয়ে পৌঁছাত।
তিনি বলেন, এই আইনটি আমাদের সবচেয়ে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। এর ভিত্তিতেই অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পেরেছি। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ তথ্যের গোপনীয়তার জন্য একটা আইন করছে। এ আইনটি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্তৃপক্ষগুলো আমাদের কথা শুনতে বাধ্য থাকবে। নইলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ও জরিমানা করতে পারব।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করি। তাদের বোঝাতে চেষ্টা করি, আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থা ও সমাজ আমেরিকার মতো নয়। তখন তারা বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেয়নি। তবে এখন আমাদের অভিযোগ আগের চেয়ে বেশি আমলে নিচ্ছে। এ অবস্থা ইতিবাচক।
ফেসবুক, গুগলসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ দেশে ভ্যাট দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ফেসবুক বাংলাদেশের জন্য একজনকে নিয়োগ দিয়েছে। আমার ধারণা, তারা এখন বাংলাদেশের বাজারটাকেও গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে। কারণ এ দেশে এখন ৪ কোটির উপরে ফেসবুক ব্যবহারকারী আছে। ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জারের ব্যবহারকারীও অনেক। এখানে ব্যবসা করতে হলে তাদের এ দেশের নিয়ম-কানুন মানতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়