টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সফল পাঁচ অধিনায়ক : তাইফ রহমান রাফি

আগের সংবাদ

সড়কে নেই ‘ডিজিটাল’ ছোঁয়া

পরের সংবাদ

ওসমানীর রিপোর্ট

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পরাধীন ব্রিটিশ-ভারত থেকে পাকিস্তানের কালো অধ্যায় পেরিয়ে জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের। এই মহান অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের মোড় ঘোরানো নানা ঘটনা, যার কারিগর হিসেবে কেউ আখ্যায়িত হয়েছেন নায়কের অভিধায়; কেউবা আবির্ভূত হয়েছেন খলনায়কের চরিত্রে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে সেসব ঘটনা ও তার নায়ক-খলনায়কদের কার কী ভূমিকা, তাই নিয়েই অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গ্রন্থ ‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’। স¤প্রতি ভোরের কাগজ প্রকাশন থেকে বের হয়েছে বইটি। এ বই থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন কিছু অংশ তুলে ধরা হচ্ছে ভোরের কাগজের পাঠকদের জন্য।
কর্নেল ওসমানী মেজর জেনারেল সুখওয়ান্ত সিংকে যা বলেছিলেন তার রিপোর্ট দেখা যেতে পারে। ‘আমার ফোর্সকে বিকেন্দ্রিকৃত গেরিলা বাহিনীতে সংগঠিত করা হয় এবং যুদ্ধে কলাকৌশল পরিবর্তন করে তারা সম্মুখযুদ্ধের বদলে কমান্ডো ধরনের আক্রমণ পরিকল্পনা করে। এর জন্য কিছু জায়গা ছেড়ে দিতে হলেও আমরা পাকিস্তান বাহিনীকে শত্রæভাবাপন্ন ব্যাপক প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে বাধ্য করেছিলাম। আমরা সর্বদাই তাদের হয়রানি করেছি, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে

দিয়েছি এবং প্রতিদিন একশতের অধিক শত্রæকে হত্যা করেছি। প্রতিদিন এই মৃতদেহের কফিনগুলো তারা প্লেনে করে পাকিস্তান নিয়ে গেছে।’
ধীরে ধীরে বিভিন্ন গ্রুপ ও উপাদানসমূহ সংগঠিত হয়ে মুক্তিবাহিনী সমর্থশক্তিতে পরিণত হচ্ছিল। ১৯৭১ সালের জুলাই মাসের মধ্যে ৫০ হাজার গেরিলা বাহিনী ও মুক্তিবাহিনী রংপুর-দিনাজপুর-রাজশাহী সেক্টর, ঢাকা-কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট এবং কুষ্টিয়া-যশোর-খুলনা এই চারটি সেক্টরে অপারেট করছিল। এই সংগঠিত শক্তির আঘাত ছিল প্রচণ্ড।
১৯৭১ সালের ২ আগস্ট সংখ্যা টাইম ম্যাগাজিন রিপোর্ট করে ‘প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইতোমধ্যে দেশের অভ্যন্তরে রাতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত করেছে, এমন কি দিনের বেলাতেও।’ কর্নেল ওসমানী দাবি করেন ‘সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমরা ২৫ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য হত্যা করেছি। ২১টি জাহাজ ডুবিয়েছি, ৬০০ ব্রিজ কালভার্ট উড়িয়ে দিয়েছি এবং রেল, সড়ক ও নদীপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছি।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে ১০০.০০০ স্ট্রং মুক্তিবাহিনী সংগঠিত হয় এবং এই সংখ্যা দ্রুততার সঙ্গে বাড়তে থাকে। এতে কতিপয় পর্যবেক্ষকদের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, মুক্তিবাহিনী তার নিজস্ব শক্তিতেই বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি সৈন্যকে তাড়িয়ে দিতে সমর্থ হবে। কিন্তু তা হবে দীর্ঘস্থায়ী গেরিলাযুদ্ধ এবং এতে বহু রক্ত ঝরবে।
নিউজউইক এর সিনিয়র এডিটর আরনাউড দ্য ব্রোসগ্রেড যিনি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গেরিলা অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন- তিনি তার রিপোর্ট প্রেরণ করেছেন এভাবে ‘ইতোমধ্যেই বিদ্রোহীদের ওপর পাকিস্তানিদের অস্ত্র ও উপকরণের শ্রেষ্ঠত্ব হ্রাস পেতে শুরু করেছে। গেরিলারা দেশের অভ্যন্তরে তাদের নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়ে চলেছে। সরকারি কর্মচারী, সিভিল সার্ভেন্টস এবং গ্রামের নেতারা বিদ্রোহীদের সঙ্গে গোপনে কাজ করছে এবং নদী পারাপারের ক্ষেত্রসমূহ ব্যতীত সরকারি বাহিনীকে শহর ও টাউনের বাইরে স্বল্পই দেখা যায়।’

আগামীকাল প্রকাশিত হবে
‘যৌক্তিক সমাধান’
‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’- বইটি পাওয়া যাচ্ছে ভোরের কাগজ প্রকাশনে (ভোরের কাগজ কার্যালয়, ৭০ শহীদ সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা)। এ ছাড়া সংগ্রহ করা যাবে bhorerkagojprokashan.com থেকেও।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়