টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সফল পাঁচ অধিনায়ক : তাইফ রহমান রাফি

আগের সংবাদ

সড়কে নেই ‘ডিজিটাল’ ছোঁয়া

পরের সংবাদ

আরো একজন গ্রেপ্তার : মুহিবুল্লাহ হত্যা পূর্ব পরিকল্পিত

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : কক্সবাজারের উখিয়ায় অবস্থিত রোহিঙ্গাদের শীর্ষনেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ হত্যায় কিলিং স্কোয়াডের সদস্য ছিল ৫ অস্ত্রধারী। যারা মাত্র দুই মিনিটেই হত্যার মিশন শেষ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ হত্যাকাণ্ডে মোট ১৯ জন কাজ করেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ড পূর্ব পরিকল্পিত বলে দাবি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতকাল শনিবার কক্সবাজারের উখিয়ায় মুহিবুল্লাহ হত্যার কিলিং স্কোয়াডের সদস্য আজিজুল হককে গ্রেপ্তারের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক।
আজিজুল হক ছাড়াও কুতুপালং ক্যাম্প-১ এর ডি ৮ ব্লকের আবদুল মাবুদের ছেলে মো. রশিদ প্রকাশ মুরশিদ আমিন ও একই ক্যাম্পের বি ব্লকের ফজল হকের ছেলে মো. আনাছ ও নুর ইসলামের ছেলে নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুলের স্বীকারোক্তির কথা জানিয়ে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক বলেন, মুহিবুল্লাহ হত্যার দুই দিন আগে মরগজ পাহাড়ে কিলিং মিশনের জন্য বৈঠক করে দুর্বৃত্তরা। সেখান থেকে ৫ জনকে অস্ত্রসহ মোট ১৯ জনকে নির্দেশ দেয়া হয় মিশন শেষ করার জন্য।
তিনি জানান, ক্রমেই মাস্টার মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের নেতা হিসেবে সর্বত্র পরিচিত হচ্ছে। তাকে থামাতে হবে। সেটা যে কোনো মূল্যে। তাই ২৯ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহকে বাসা থেকে অফিসে প্রত্যাবাসন বিষয়ে কথা আছে বলে ডেকে আনে গ্রেপ্তার হওয়া মুরশিদ। তারপর বাকিদের সংকেত দিয়ে দেয় সে।
তিনি আরো জানান, প্রথমে একটি তার পরেরজন দুটিসহ চারটি গুলি করা হয় মুহিবুল্লাহকে। তারপর মুহিবুল্লাহর বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যায় স্কোয়াডের ৫ জন। পরে সবাই সতর্ক হয়ে যায়। বিভিন্নজনের ওপর দোষ চাপাতে থাকে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট-ওয়েস্ট (ডি ব্লকে) নিজ অফিসে অবস্থান করছিলেন মুহিবুল্লাহ। এ সময় বন্দুকধারীরা গুলি করে তাকে হত?্যা করেন। এখন পর্যন্ত এ হত্যা মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মো. ইলিয়াছ নামে একজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়