ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে আরেক মামলা

আগের সংবাদ

রুট পারমিটের তোয়াক্কা নেই রাজধানীর গণপরিবহনের

পরের সংবাদ

সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত স্কটল্যান্ডের

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ‘বি’ গ্রুপে নিঃসন্দেহে সেরা দল ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সব আলো কেড়ে নিয়ে এখন গ্রুপটির আধিপত্যকারী দল স্কটল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ আর দ্বিতীয় ম্যাচে গতকাল পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা। আল আমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল প্রথমে ব্যাট করতে নেমে স্কটিশরা নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও দারুণ লড়াই চালায় পাপুয়া নিউগিনির ক্রিকেটাররা। শেষ পর্যন্ত ১৯.৩ ওভারে ১৪৮ রানে থামে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেশী দেশটি। ২ ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে স্কটল্যান্ড। অন্যদিকে ২ ম্যাচের সবকটিতে হেরে সুপার টুয়েলভের পথ থেকে অনেকটা ছিটকে গেছে পাপুয়া নিউগিনি।
ওমানের আল আমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল পাপুয়া নিউগিনিকে ১৭ রানে হারিয়েছে স্কটিশরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ‘বি’ গ্রুপে এখন তারাই শীর্ষে। এই গ্রুপ থেকে দুটি দল নাম লেখাবে সুপার টুয়েলভে। এর মধ্যে স্কটল্যান্ড প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে। এর আগে ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাপুয়া নিউগিনি। তবে দুই ওপেনার টনি উরা ২ রান আর লেগা সিয়াকা ৯ রান করে ফেরার পর ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন অধিনায়ক আসাদ ভালা। কিন্তু ১১ বলে ১৮ রান করে তিনিও সাজঘরের পথ ধরেন। এরপর নিজের ভুলে বোকার মতো রানআউট হন চার্লিস আমিনি (১)। সিমোন আতাই ২ রান করেই ক্যাচ তুলে দেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩৫ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাপুয়া নিউগিনি। এরপর মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সেসে বাউ ধরে খেলে সেই বিপর্যয় কিছুটা কাটিয়ে উঠেন। তবে তিনিও ২৩ বলে ২৪ রানের বেশি এগোতে পারেননি। ৬৭ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে পাপুয়া নিউগিনি। সেখান থেকে নরমান ভানুয়া আর কিপলিন দরিগার ২৮ বলে ৫৩ রানের জুটিতে ফের আশা জাগে নবাগত দলটির। ১৬ ওভার শেষে ৬ উইকেটেই ১২০ রান তোলে পাপুয়া নিউগিনি। শেষ পর্যন্ত ১৭তম ওভারে এসে দরিগা (১১ বলে ১৮) মার্ক ওয়াটের ঘূর্ণিতে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়লে হাফ ছেড়ে বাঁচে স্কটল্যান্ড। ফলে ভানুয়ার একার লড়াই আর কাজে আসেনি। ৩৭ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় ৪৭ রানে থামতে হয় এই ব্যাটসম্যানকেও। স্কটিশ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন জশ ড্যাভেই। ১৮ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন এই পেসার।
এর আগে আল আমারাত স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেচে নেয় স্কটল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে শুরুটা তেমন ভালো ছিল না স্কটল্যান্ডের। দুই ওপেনার ১৩ বলে এনে দেন ২২ রান। ব্যাটিংয়ে নেমে সতর্কমূলক শট খেলতে থাকেন কাইল কোয়েতজার। কিন্তু স্কটিশ অধিনায়কের সেই সতর্কতায় কাজ হয়নি। তৃতীয় ওভারে বাঁ-হাতি পেসার কাবুয়া মোরেয়ার চোখ ধাঁধানো এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন কোয়েতজার। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি ৬ বল থেকে ৬ রান তুলে নেন। আরেক ওপেনার জর্জ মুনসে ছিলেন মারমুখী। কিন্তু পরের ওভারে তিনিও সাজঘরের পথ ধরেন। চাদ সপারকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন মুনসে । তার ব্যাট থেকে ১০

বলে আসে ১৫ রান। ২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে স্কটিশরা। সেখান থেকে ম্যাথিউ ক্রস আর রিচি বেরিংটনের দারুণ এক জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় স্কটল্যান্ড। তৃতীয় উইকেটে ৬৫ বলে ৯২ রান যোগ করে দলকে ভালো অবস্থানে পৌঁছে দেন এই জুটি। তবে হাফসেঞ্চুরির খুব কাছে থাকলেও দুর্ভাগ্য বিশ্বকাপে তার একটি মাইলফলকে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সিমন আতাইকে এই ব্যাটসম্যান ভুল শট খেলে বসেন ব্যক্তিগত ৪৫ রানে। ৩৬ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় গড়া তার ইনিংসটি থামে বাউন্ডারি লাইনের ক্যাচে। তবে ফিফটি তুলে নিতে ভুল করেননি অপরপ্রান্তে থাকা বেরিংটন। ৩৭ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করার পর ১৯তম ওভার পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে গেছেন তিনি। ৪৮ বলে ৬ চার আর ৩ ছক্কায় ৭০ রান করে সপারের শিকার হন বেরিংটন। শেষ দুই ওভারে ১৫ রান যোগ করে ৬ উইকেট হারায় স্কটিশরা। নাহলে পুঁজিটা আরও বড় হতে পারতো কোয়েতজারের দলের। ইনিংসের শেষ ওভারটিতে তিন উইকেট তুলে নেন মোরেয়া। পাপুয়া নিউগিনির বোলারদের মধ্যে কাবুয়া মোরেয়া ৩১ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট এবং চাঁদ সপার ২৪ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়