গুলিস্তানে বাস উল্টে ২ কাবাডি খেলোয়াড় আহত

আগের সংবাদ

মণ্ডপে হামলার নেপথ্যে কারা

পরের সংবাদ

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট : শহীদ মিনারে প্রতিবাদী সমাবেশ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ধর্মীয় বিভাজনের মাধ্যমে যারা দেশের সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায় এবং করেছে সেসব মৌলবাদী গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।
গতকাল শনিবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশ থেকে তারা এই দাবি জানান।
জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন নাট্যাভিনেতা রামেন্দু মজুমদার, নাট্যজন নাসির উদ্দীন ইউসুফ, দেবপ্রসাদ দেবনাথ, সাংবাদিক আবেদ খান, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম, জোটের সহসভাপতি ঝুনা চৌধুরী, আবৃত্তিশিল্পী আহ্কাম উল্লাহ, রেজিনা ওয়ালী লীনা, গণসংগীত শিল্পী মাহমুদ সেলিম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কুমিল্লায় যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি। কোনোভাবেই এই মৌলবাদী অপশক্তিকে ছাড় দেয়া যাবে না। পাশাপাশি এই ঘটনায় প্রশাসনের কোনো ব্যর্থতা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে। একই সঙ্গে যেসব স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে সেখানকার জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখতে হবে।
তারা আরো বলেন, গত ২৫-৩০ বছরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে জনগণের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। সেই সুযোগে ধর্মান্ধ ও মৌলবাদীরা জনগণকে ইসলামের দোহাই দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে। এ কারণেই সরকার আমাদের পক্ষের হলেও সমাজটা চলে যাচ্ছে আমাদের নাগালের বাইরে। এ বিষয়ে সরকারের সচেতন হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। আজকে স্বাধীন বাংলাদেশে পূজাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মাধ্যমে মন্দিরে হামলাসহ যে প্রাণহানি ঘটল সেটা একেবারেই
অনাকাক্সিক্ষত। এ অবস্থায় যা করণীয় আমরা সংস্কৃতিকর্মীরা তাই করব। সরকারকে আহ্বান জানাব তারাও যেন পদক্ষেপ নেয়। সেটা শুধু শক্তি দিয়ে থামালেই হবে না। বর্তমানে মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা এই সমাজের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনবে না। শুক্রবার চৌমুহনীতে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেটার সঙ্গে জড়িত ছিল এই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাই। অথচ মৌলবাদের এসব সূতিকাগারের সঙ্গে সম্পৃক্ত নেতাদেরই নানাভাবে তোষামোদ করা হচ্ছে।
বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দাবিও জানান বক্তারা।
সমাবেশ থেকে আগামী ১৯ অক্টোবর দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় সম্প্রীতি রক্ষা দিবস পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। সেদিন জোটের পক্ষ থেকে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে কেন্দ্রীয়ভাবে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া কুমিল্লার যে মন্দিরকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক হামলার সূত্রপাত হয় সেখানে আক্রান্তদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ‘বাংলাদেশ ১৯৭১ : শোক এবং সকাল’
বিশ্বখ্যাত ম্যাগনাম আলোকচিত্রশিল্পী মার্ক রিবুর আলোকচিত্র নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে শুরু হলো ‘বাংলাদেশ ১৯৭১ : শোক ও সকাল’ শীর্ষক একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। এতে স্থান পেয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরল কিছু আলোকচিত্র।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার যৌথ আয়োজনে গতকাল শনিবার বিকালে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল।
এতে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত জ্যঁ মারা সু।
’লা’সেসিও লেসামি দ্য মাখ রিব্যো’ এবং গিমে মিউজিয়ামের সহযোগিতায় আয়োজিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে তোলা আলোকচিত্রের স্থান পেয়েছে পঞ্চাশটি আলোকচিত্র। স্বাধীনতার ৫০তম বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে এই প্রদর্শনীর।
১৯৭১ সালের নভেম্বরের শেষদিকে কলকাতায় আসেন রিবু। তিনি শরণার্থী শিবির এবং মুক্তাঞ্চল ঘুরে দেখেন। ৩ ডিসেম্বরে যখন ভারত-পাকিস্তান সর্বতোভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সমর্থিত অগ্রসরমান ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। ঢাকায় প্রবেশ করেই ক্যামেরার ফ্রেমে ধারণ করেন সবচিত্র। মার্ক রিবু ২০১৬ সালে প্যারিসে ৯৩ বছর বয়সে মারা যান। ১৬ নভেম্বর শেষ হবে মাসব্যাপী এই প্রদর্শনী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়