গুলিস্তানে বাস উল্টে ২ কাবাডি খেলোয়াড় আহত

আগের সংবাদ

মণ্ডপে হামলার নেপথ্যে কারা

পরের সংবাদ

ব্যবস্থাপককে উপঢৌকন না দেয়ার জের : ৫ মাস বিদ্যুতহীন সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট মার্কেট

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জিকরুল হক, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : এয়ারপোর্ট মার্কেটের ব্যবসায়ীরা সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপককে নগদ উপঢৌকন না দেয়ায় দীর্ঘ ৫ মাস ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের এয়ারপোর্ট মার্কেটটি। ফলে শতাধিক দোকানি বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। একই সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সহ¯্রাধিক শ্রমজীবী মানুষ কাজ হারা হয়েছে।
এয়ারপোর্ট মার্কেটের দোকানি আলমগীর, হেলাল, আসাদসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান, সৈয়দপুর বিমানবন্দরের বর্তমান ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার অজুহাতে আকস্মিকভাবে দোকানের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়। পরে আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে বলেন। আমরা তার কথামতো বলি, বিদ্যুৎ বিলের কপি দেন, আমরা খাই বা না খাই বিল পরিশোধ করব। তিনি আমাদের এমন কথা শুনে সাফ জানিয়ে দেন নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে হলে প্রতি দোকানিকে নগদ উপঢৌকন দিতে হবে। যার পরিমাণ টাকার অঙ্কে ৪০ হাজার।
আমরা তার এ অনৈতিক দাবি মেটাতে অপারগতা প্রকাশ করি। তিনি আমাদের এমন কথা শুনে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে অনেক অনুরোধ করা সত্ত্বেও বিমানবন্দরের ওই ব্যবস্থাপক দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেননি। দীর্ঘ ৫ মাস ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে মার্কেটের দোকানগুলো। দোকানে বিদ্যুৎ না থাকায় ক্রেতারা দোকানে আসে না। ফলে বেচাকেনা দিন দিন কমতে থাকে। বাড়তে থাকে মহাজনের ধারদেনা। ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে পড়েছে এয়ারপোর্ট মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। পাওনাদারদের চাপে অনেক দোকানি দোকান বন্ধ করে দিয়ে বাড়িতে বেকার সময় কাটাচ্ছে। অথচ ৬ মাস আগেও বিমানবন্দর মার্কেটটি দিন রাত ক্রেতা সাধারণে ভরা থাকত। ওই সময় প্রতিদিন সৈয়দপুর-ঢাকা ও ঢাকা-সৈয়দপুর ১১টি ফ্লাইট যাতায়াত করত। এ সময় উভয় দিক থেকে যাতায়াতকারী যাত্রীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১ হাজার ৪০০। বর্তমানে নতুন রুট চালু হয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে বিমানের সংখ্যাও। যাত্রী সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। যাত্রীদের আত্মীয়স্বজনরা সময় কাটাতে এয়ারপোর্ট মার্কেটে যায়। এতে দোকানিদের বেচাকেনাও ভালো হয়। কিন্তু দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় কোনো ক্রেতা দোকানে বসতে চান না। আর ক্রেতা দোকানে না বসলে বেচাকেনাও হয় না। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে ক্রেতার অভাবে এয়ারপোর্ট মার্কেটটি খাঁ খাঁ করছে। অভিযোগ রয়েছে, বিমাবন্দর টার্মিনালের ভেতরে গড়ে ওঠা ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জমজমাট করতে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক এয়ারপোর্ট মার্কেটটি সুকৌশলে বন্ধ করে দিয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে সুবিধা লুটতে এমন কৌশল নেয়া হয়েছে বলে অনেকের সঙ্গে কথা বলে তাদের মন্তব্যে জানা গেছে।
নগদ উপঢৌকন না পাওয়ায় এয়ারপোর্ট মার্কেটের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এমন অভিযোগ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষের সঙ্গে। তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সময় কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়