কাগজ প্রতিবেদক : নেট দুনিয়ায় চোখ রাখলেই ভেসে আসে নাটক, সিনেমা, মিউজিক ভিডিও, শর্ট ফিল্মের নামে অশ্লীল নানা দৃশ্য। অনেক সময় দেখার ইচ্ছে না থাকলেও হুট করেই চোখের সামনে চলে আসে এ ধরনের ভিডিও। ফলে পরিবারের সদস্যদের সামনে বিব্রত হতে হয়। আপত্তিকর এসব নাটক বা টেলিফিল্মের নির্মাতা বা প্রযোজক খুঁজে পাওয়া কঠিন। বেশি ভিউয়ের আশাতেই এ ধরনের কনটেন্ট নির্মাণের পর সামাজিক মাধ্যমে বুস্টিং (টাকার বিনিময়ে প্রচার) করে তারা। অথচ বিষয়টি নজরদারির কেউ নেই!
অনলাইন ব্যবহারকারীরা জানান, অনেক সময় শিশু-কিশোর ও তরুণ শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস কিংবা কোচিং করতে গিয়ে এসব অশ্লীল ভিডিও দেখে ফেলে। এতে তাদের মধ্যেও এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
এ পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে দেশের শিশু-কিশোরদের পাশাপাশি তরুণ ও যুবসমাজ ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। প্রশাসনের দাবি, কিছুটা দেরিতে হলেও বিষয়টি তাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সুতরাং এ ধরনের অপতৎপরতা আর চলতে দেয়া হবে না।
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যৌনতা, বীভৎসতা, নোংরা সংলাপ, অশ্লীল পোশাক ইত্যাদি ধারণ এবং অবাধ প্রদর্শনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সম্প্রচার নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু নাটক বা ওয়েব সিরিজের কোনো সেন্সর নেই। এ সুযোগে একশ্রেণির অসাধু ব্যক্তি তার ফায়দা নিচ্ছে। সরকার যেখানে পর্নোগ্রাফি বন্ধে তৎপর, সেখানে ওয়েব সিরিজ, শর্ট ফিল্ম ও নাটকের নামে এ ধরনের অশ্লীল ভিডিওর কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকার বিষয়টি তাদের ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
অভিনেতা মীর সাব্বির বলেন, ইউটিউব উন্মুক্ত বাজার। তাই বলে যার যা খুশি তা প্রকাশ করবে- এমন হতে দেয়া যায় না। ইউটিউবে এমন মানহীন অশ্লীল গল্পের ভিডিও দেখলে বেশ লজ্জা লাগে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এই বিষয়গুলোর দিকে গুরুত্ব দেয়া উচিত। এটি আমাদের সংস্কৃতির জন্য হুমকি। এ ধরনের অশ্লীল কনটেন্ট যারা প্রকাশ করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান এই অভিনেতা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।