গুলিস্তানে বাস উল্টে ২ কাবাডি খেলোয়াড় আহত

আগের সংবাদ

মণ্ডপে হামলার নেপথ্যে কারা

পরের সংবাদ

‘ধার করা’ চিকিৎসকে চলছে বালিয়াকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শহিদুল আলম মিয়া মিলন, বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) থেকে : একজন ধার করা চিকিৎসক দিয়ে চলছে বালিয়াকান্দি উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন রোগীরা। কেউ সামান্য অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে এলেই তাকে পাঠাতে হচ্ছে ফরিদপুর বা রাজবাড়ী হাসপাতালে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের আড়াই লাখ জনবসতির স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৫০ শয্যা হাসপাতাল ১টি, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৪টি, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৩টি ও কমিউনিটি ক্লিনিক ২৩টি নির্মাণ করা হয়। আগে জনসংখ্যা অনুযায়ী ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ১ জন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ১ জন, মেডিকেল অফিসার ২ জন, কনসালট্যান্ট সার্জারি ১ জন, মেডিসিন ১ জন, গাইনি ১ জন, অ্যানেসথেসিয়া ১ জন ও ডেন্টাল সার্জন ১ জনসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১ জন করে মোট ১৬ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও বর্তমানে ৫০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীত হলেও নেই কোনো চিকিৎসক। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাফিন জব্বার ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফারুক হোসেন দুজনই বদলি হয়েছেন। বর্তমানে ডা. সুমন কুমার সরকার ডেপুটেশনে এসে চিকিৎসা দিচ্ছেন। অন্য পদগুলো রয়েছে শূন্য। এ হাওলাতি চিকিৎসক দিয়েই চলছে উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্যসেবা। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রেও নেই কোনো চিকিৎসক। অপারেশন থিয়েটার (ওটি) বন্ধ, ২০০৯ সাল থেকে বিকল হওয়ার কারণে বন্ধ রয়েছে এক্স-রে মেশিনটিও। বর্তমানে এক্স-রে মেশিন নতুন করে বরাদ্দ দেয়া হলেও অপারেটর না থাকায় পড়ে রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপে মাঝেমধ্যে গাইনি ডাক্তারসহ দক্ষ ডাক্তারদের পোস্টিং হলেও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে অনেকেই যোগদান না করে তাদের পছন্দমতো স্থানে চলে যান। দীর্ঘদিন চিকিৎসা কাজে ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ২৩টি পদের অর্ধেক পদই শূন্য রয়েছে। ব্যয়ভার বহন করতে না পারায় ৪০ কেবির জেনারেটরটি চালু করার অভাবে গোডাউনে পড়ে আছে। ২০১১ সালে ২৫ মার্চ ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়। ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের পর প্রশাসনিক অনুমতিসহ কিছু উপকরণও বরাদ্দ পাওয়া ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও জনবল রয়েছে শূন্য। এ অবস্থার মধ্যেই দিয়েই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ৫০ শয্যার স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। এলাকাবাসী দ্রুত হাসপাতালটিতে জনবল পদায়নের দাবি জানিয়েছেন। হাসপাতালে আসা রোগীরা জানান, এক্স-রে মেশিন না থাকার কারণে রাজবাড়ী, ফরিদপুর অথবা বেসরকারী ক্লিনিকে যেতে হয়। এতে যেমন বাড়ছে সময় ও খরচ ব্যয়। বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাফিন জব্বার জানান, ৫০ শয্যার কার্যক্রম শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। জরুরি ভিত্তিতে জনবল নিয়োগ, এক্স-রে মেশিন সচল করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। আমার ইতোমধ্যেই বদলি হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসক সংকটের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি।
উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, চিকিৎসকরা উপজেলা পরিষদে ন্যস্ত থাকলেও যোগদান বা বদলি হলেও আমাকে অবগত করা হয় না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়