ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : দুই বাসের প্রতিযোগিতার কারণেই ময়মনসিংহের ত্রিশালের চেলেরঘাট এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণ গেল সাত বাসযাত্রীর এবং আহত হয়েছেন আরো ১০ জন। গতকাল শনিবার রাতে ত্রিশাল থানার ওসি মাঈন উদ্দিন এসব তথ্য জানান।
বিকাল সোয়া ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- জেলার ফুলপুর উপজেলার ছনধরা ইউনিয়নের মড়লবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা ফজলুল হক (৩৫), তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৮), তাদের ছেলে আব্দুল্লাহ (৬), মেয়ে আজমিনা (৯) এবং ফজলুল হকের শ্বশুর নজরুল ইসলাম (৫৫) ও ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা এলাকার তাইজুদ্দিন মণ্ডলের স্ত্রী হেলেনা আক্তার (৫০)। একজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
ওসি মাঈন উদ্দিন বলেন, প্রতিযোগিতা করে একটি বাস অন্য একটি বাসকে ওভারটেক করতে চাইলে দাঁড়িয়ে থাকা সোনাই পরিবহনের একটি বিকল ট্রাকে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি স্পার এম এ পরিবহনের। এ বাসটি শেরপুরগামী ছিল। তবে অন্য বাসের নাম জানা যায়নি।
তিনি আরো বলেন, ঘটনাস্থলে পাঁচজন মারা যান। হাসপাতালে নেয়ার পর আরো দুজনের মৃত্যু হয়। আহতরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতদের চারজনই একই পরিবারের।
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকচালক মো. ইয়াসিন আলী বলেন, ট্রাকে পাথর নিয়ে ময়মনসিংহ আসছিলাম। চেলেরঘাট এলাকায় আসলে আমার ট্রাকের ডান পাশের সামনের চাকা ফেটে যায়। ট্রাকটি সড়কের ডান পাশে রেখে সতর্ক সংকেত হিসেবে গাছের ডাল টানিয়ে দেই। পরে আমার সহকারীকে শম্ভুগঞ্জ থেকে নতুন চাকা আনতে পাঠাই। কিছুক্ষণ পর শেরপুরগামী দুটি বাস প্রতিযোগিতা করে পেছন দিক থেকে আসতে থাকে। এ সময় একটি বাস অন্যটিকে ওভারটেক করতে গেলে আমার ট্রাকে ধাক্কা খায়। তার দাবি, মহাসড়কে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ দেখলেই দুর্ঘটনার বিষয়ে সব জানা যাবে।