গুলিস্তানে বাস উল্টে ২ কাবাডি খেলোয়াড় আহত

আগের সংবাদ

মণ্ডপে হামলার নেপথ্যে কারা

পরের সংবাদ

চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত : জাতীয় জাদুঘরে শুরু হলো ‘বঙ্গবন্ধু লোকশিল্প প্রদর্শনী’

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরে শুরু হলো ‘বঙ্গবন্ধু লোকশিল্প প্রদর্শনী’। জাদুঘরের জাতিতত্ত্ব ও অলঙ্করণ শিল্পকলা বিভাগের উদ্যোগে গতকাল শনিবার প্রতিষ্ঠানটির নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে শুরু হয় ১০ দিনের এই প্রদর্শনী। উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।
এতে তুলে ধরা হয়েছে পাটশিল্প, সূচিশিল্প, ফোক পেইন্ট, টেরাকোটা ও মাটি, রিকশা পেইন্টিং, নকশিকাঁথা, পাটিশিল্প, বাঁশ ও বেতশিল্প, ধাতবশিল্প, শোলাশিল্প, সিনেমা ব্যানার, কাঠের শিল্পের নানা কর্ম। ২৫ অক্টোবর শেষ হবে ১০ দিনের এই প্রদর্শনী। প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘লোকগানে বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে এক মনোজ্ঞ সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সঙ্গীতানুষ্ঠানে লোকগান পরিবেশন করেন আবদুল কুদ্দুস বয়াতি, শিল্পী শাহানাজ বাবু, বাউল গরিব মোক্তার এবং শিল্পী পূর্ণ চন্দ্র রায়। গানে গানে শিল্পীরা বঙ্গবন্ধুকে মূর্ত করে তোলেন।
জাদুঘরে নতুন রূপে চালু ‘সুইজারল্যান্ড কর্নার’ : জাতীয় জাদুঘরের বিশ্ব সভ্যতা গ্যালারিতে নতুন রূপে চালু হলো ‘সুইজারল্যান্ড কর্নার’। এই কর্নারটিতে থাকবে সুইজারল্যান্ডের সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নানা সমাহার। সুইস আইকনিক ভূদৃশ্য, প্রকৃতির নিকট ফিরে যাওয়া, রন্ধন ঐতিহ্য, নকশার ঐতিহ্য, সুইস টেক্সটাইল শিল্প, সুইজারল্যান্ডের অনুপ্রেরণা, সুইস ভাষাসহ বিভিন্ন বিষয়ের শতাধিক সংগ্রহ রয়েছে এই কর্নারে। ঢাকাস্থ সুইজারল্যান্ড দূতাবাস আয়োজনে ও জাদুঘরের সহযোগিতায় গতকাল শনিবার এই কর্নারটি উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান ও বেসরকারি সংগঠন ‘ফ্রেন্ডশিপ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক রুনা খান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুইজারল্যান্ড একটি চমৎকার, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ দেশ। এটি কোনো দেশের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় না ও কোনো সামরিক জোটেরও সদস্য নয়। বাংলাদেশও সে রকম একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ দেশ। আশা করছি, দুই দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত আরো প্রশস্ত হবে এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উত্তরোত্তর বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাঙালি জাতির ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও শিল্পকলার ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করে আসছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য এ দেশের মানুষের সামনে উপস্থাপন করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় জাদুঘরের সচিব গাজী ওয়ালিউল হক, প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মো. জাহিদুল ইসলামসহ সুইজারল্যান্ড দূতাবাস ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জাদুঘরের বিশ্ব সভ্যতা গ্যালারিতে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান ও সুইজারল্যান্ড এই ৪টি দেশের কর্নার রয়েছে। সুইজারল্যান্ড কর্নারটি ২০০৬ সালে স্থাপনের পর নতুন কয়েকটি নিদর্শন যুক্ত করার মাধ্যমে এটিকে বর্তমানে নতুন রূপে সাজানো হলো।
শিল্পকলায় সাধুসঙ্গ : মেঘযুক্ত আকাশের সূর্যটা ডোবার পরেই ভাবের সাগরে ডুব দিল সাঁইজির ভক্তরা। লালনের তাত্ত্বিক কথার আর অনন্য সুরে তন্ত্রমুগ্ধের মতো তন্ময় হয়ে সুরের বৃষ্টিতে ভিজে শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে আগত লালনপ্রেমীরা। শ্বেতবসনের সাজে হাতের একতারা উঁচিয়ে সাঁইজির ভাববাণীতে শারদীয় সন্ধ্যাকে উপভোগ্য করে তোলেন বাউলরা। এমন চিত্রই ছিল লালনের ১৩১তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে সাঁইজি স্মরণ উৎসব ও সাধুমেলায়।
শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় শুরু হয় এই আয়োজন।
সুরের বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে ভাবের জগতে দুলতে থাকে শ্রোতারা। আর সুরের বৃষ্টি চলার মধ্যেই মন খারাপ করে শরতের অনাকাক্সিক্ষত বৃষ্টি বাগড়া দেয় অনুষ্ঠানস্থলে। উন্মুক্ত প্রাঙ্গণের অনুষ্ঠান নিয়ে যাওয়া হয় চিত্রশালা মিলনায়তনে। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন কাঙ্গালিনী সুফিয়া, পাগলাবাবলু, নাসরিন আক্তার বিউটি, কহিনুর আক্তার গোলাপী, শফি মন্ডল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।
একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির সচিব মো. আছাদুজ্জামান। লালন গবেষণায় সম্মাননা স্মারক পান অধ্যাপক ড. আবুল আহসান চৌধুরী এবং অধ্যাপক ড. শক্তিনাথ ঝা (ভারত)। লালন সাধনায় সম্মাননা পান পার্বতী দাস বাউল (ভারত), ফকির মোহাম্মদ আলীশাহ (কুষ্টিয়া), ফকির আজমল শাহ্ (ফরিদপুর), নিজাম উদ্দিন লালনী (মাগুরা), শুরুবালা রায় (ঠাকুরগাঁও)। সন্ধ্যায় শুরু হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এই আসর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়