শাহরিয়ার কবির আকন্দ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) থেকে : পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ?্য কমপ্লেক্সে জনবল বা ডাক্তার সংকটে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত প্রায় তিন লাখ মানুষ। এমনকি গ্রামের ৩৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক ৫টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেও জনবল সংকটে ভুগছে। এসব ক্লিনিকগুলো তদারকির দায়িত্বে আছে একজন মাত্র ইনচার্জ ফিরোজ কবির। তিনি জানান, তার একার পক্ষে এতগুলো ক্লিনিক ও হাসপাতাল তদারকি করা সম্ভব নয়। আর এ কারণে উপজেলার ৩৩টি ক্লিনিকের সিএইচসিপিরা কখন আসছেন, আর কখন বন্ধ করছেন, তা কেউ বলতে পারেন না। উপজেলার বেশ কয়েকটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, শনিবার ৩ ভাগ ক্লিনিক বন্ধ, অন?্য দিনগুলোতে কোনো ক্লিনিক বেলা ১১টায় খুলছে, কোনোটি দুপুর ১২টায় বন্ধ করে সিএইচসিপি বাড়িতে চলে যায়। ক্লিনিক থেকে সিএইচসিপিকে মোবাইলে জানতে চাইলে কেউ জানান, পারিবারিক সমস্যার কারণে বাড়িতে এসেছি। আবার কেউ জানান, এই মাত্র আসলাম। আবার কেউ জানান, বাচ্চা অসুস্থ রংপুর নিয়ে যাচ্ছি। নানান ছলছুতো আর তালবাহানায় চলছে ইউনিয়ন পর্যায়ের ক্লিনিকগুলোর সিএইচসিপিদের। এতে করে গ্রামগঞ্জের বিপুলসংখ্যক মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এদিকে প্রতিটি উপস্বাস্থ?্য কেন্দ্রগুলোতে একজন করে এমবিবিএস ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও ডাক্তার সংকটের কারণে তাদের উপজেলা স্বাস্থ?্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে বলে উপজেলা স্বাস্থ?্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনিছুর রহমান জানান।
হাসপাতাল ও উপস্বাস্থ?্য কেন্দ্রে ডাক্তার নেই, ওষুধ নেই, বাহির থেকে ওষুধ কিনতে হয় এমন অভিযোগের পাহাড় রোগী ও রোগীদের স্বজনদের। উপজেলার ক্লিনিক ও হাসপাতাল খুঁড়িড়ে খুঁড়িয়ে চললেও এদিকে নজর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।