ধর্ষণের মামলা থেকে রক্ষা পেতে ছাত্রলীগ নেতার বিয়ে

আগের সংবাদ

বিশ্ব খাদ্য দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী : খাদ্যের অপচয় কমাতে হবে

পরের সংবাদ

ইন্দিরার নির্দেশ : ভারতীয় ওয়ার প্ল্যান

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পরাধীন ব্রিটিশ-ভারত থেকে পাকিস্তানের কালো অধ্যায় পেরিয়ে জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের। এই মহান অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের মোড় ঘোরানো নানা ঘটনা, যার কারিগর হিসেবে কেউ আখ্যায়িত হয়েছেন নায়কের অভিধায়; কেউবা আবির্ভূত হয়েছেন খলনায়কের চরিত্রে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে সেসব ঘটনা ও তার নায়ক-খলনায়কদের কার কী ভূমিকা, তাই নিয়েই অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গ্রন্থ ‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’। স¤প্রতি ভোরের কাগজ প্রকাশন থেকে বের হয়েছে বইটি। এ বই থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন কিছু অংশ তুলে ধরা হচ্ছে ভোরের কাগজের পাঠকদের জন্য।
ঘটনা দ্রুত গড়িয়ে যাচ্ছে।
১৯৭১। ১২ মার্চ। নয়াদিল্লি।
মিলিটারি অপারেশনের অফিস।
স্মার্ট, দক্ষ, স্পষ্টভাষী জেনারেল কে কে সিংহ-ডাইরেক্টর।
নাটকীয়ভাবে সামনে বসা মেজর জেনারেল সুখওয়ান্ত সিংকে বললেন : ঘটনা দ্রুত গড়িয়ে যাচ্ছে। ঘটে যাওয়া দৃশ্যগুলোকে অবিলম্বে বুঝে নিতে হবে। দেয়ালে টাঙানো পূর্ব পাকিস্তানের ম্যাপের দিকে চোখ ফেরালেন।
শেখ মুজিব তখন পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তান সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে তৎপরতা শুরু করেছেন।
কিছু ছবি :
পূর্ব পাকিস্তানে কার্যরত ভারতীয় মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সির রিপোর্টে আরো কিছু ছবি পাওয়া যায়। তাদের রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে দেখা গেল, পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থানরত পাকিস্তান সৈন্যের মধ্যে ১৮টি পদাতিক বাহিনী পশ্চিম পাকিস্তানিদের এবং ৬টি ব্যাটালিয়ান সম্পূর্ণ পূর্ব পাকিস্তানিদের নিয়ে গঠিত। তাছাড়া একটি আর্মড ও ৭টি আর্টিলারি রেজিমেন্ট ছিল মিশ্রিত। যেখানে পাকিস্তানি ও বাঙালিদের অনুপাত ছিল ৭০ ও ৩০ ভাগ, এছাড়া ১৬টি উইংয়ে গঠিত ইপিআর সৈন্য সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার, এদের অফিসার মূলতঃ পশ্চিম পাকিস্তানি। কিন্তু সদস্য প্রায় সকলেই বাঙালি।
ভারতে তখন এক নাজুক পরিস্থিতি :
সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে নিরঙ্কুশভাবে ক্ষমতায় আসীন ইন্দিরা গান্ধী। তাৎক্ষণিকভাবে পূর্ব পাকিস্তানের হৃদয় বিদীর্ণ করা নিষ্ঠুর ঘটনাবলি সম্পর্কে একাত্মতা ঘোষণা ছাড়া তেমন কিছুই করণীয় নির্ধারণ করতে সমর্থ হননি তিনি। ২৭ মার্চ লোকসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সতর্কভাবে তার বক্তব্য উত্থাপন করেন।
২৭ মার্চ রাজ্যসভায় এক বিবৃতিতে তিনি বললেন যে, ‘পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ শুধু একটি আন্দোলনকে দমনের জন্যই নয় বরং নিরস্ত্র জনতার মোকাবিলায় সেখানে

ট্যাংক ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে কী ঘটছে এবং কী আমাদের করণীয় এ সম্পর্কে আমরা সক্রিয় আছি।’
৩১ মার্চ শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক উত্থাপিত এক ঐতিহাসিক প্রস্তাব লোকসভায় গৃহীত হলো। প্রস্তাবে ‘বাংলাদেশের সংগ্রামের প্রতি সর্বাত্মক সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার’ ঘোষিত হয়। ৩১ মার্চ এই প্রস্তাব গ্রহণের পক্ষে ভারতের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল পরিষ্কার। একই সঙ্গে জনমত ও প্রতিষ্ঠানাদিও প্রকাশ্যে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সাহায্য দেয়ার পক্ষে মতামত প্রকাশ করে।
আগামীকাল প্রকাশিত হবে
‘সময় বহিয়া যায়’
‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’- বইটি পাওয়া যাচ্ছে ভোরের কাগজ প্রকাশনে (ভোরের কাগজ কার্যালয়, ৭০ শহীদ সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা)। এছাড়া সংগ্রহ করা যাবে bhorerkagojprokashan.com থেকেও।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়