কাগজ প্রতিবেদক : কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনা সাজিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, যা ক্রমেই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে কুমিল্লার ওই ঘটনাকে ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হলেও থামছে না হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা। আগের দিনের ঘটনার জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা চলাকালে হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। পূজামণ্ডপগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকলেও কাজে আসছে না। শত শত লোক পুলিশকে তোয়াক্কা না করে পূজামণ্ডপে তাণ্ডব চালিয়েছে। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে সারাদেশের ২২ জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে যাদের উসকানিতে এসব হামলা চালানো হচ্ছে তাদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। গত বুধবার রাত ও গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের গাজীপুর, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, নোয়াখালী, ল²ীপুর, বান্দরবান ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে নতুন করে হামলা হয়েছে। বেশির ভাগ পূজামণ্ডপে লাঠিসোটা নিয়ে চড়াও হয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। হামলায় বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন অনেকে। বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা চলার মধ্যেই এসব সাম্প্রদায়িক হামলা ভীতি সৃষ্টি করছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে।
এর আগে কুমিল্লা, চাঁদপুর, চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও কর্ণফুলী উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চাঁদপুরে সংঘর্ষে ৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। এদিকে প্রতি বছর দুর্গাপূজার আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেই চলেছে। এ বছরও আসন্ন দুর্গাপূজার প্রাক্কালে চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, গাজীপুর, চাঁদপুরের কচুয়া, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আগেই নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছিল বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। পাশাপাশি রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে গত রবিবার ডিএমপি কমিশনার বলেছিলেন, পূজামণ্ডপে হামলার জন্য জঙ্গিরা অনলাইনে সক্রিয় রয়েছে। যে কোনো একটি মণ্ডপে হামলার জন্য তৈরি হতে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, গতকাল সকালে গাজীপুরে তিনটি মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে একটি মন্দিরের সব প্রতিমা ভেঙে ফেলা হয়েছে। অন্য দুটি মন্দিরের আংশিক প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। কাশিমপুর বাজারের
পালপাড়া শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কাশিমপুর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবুল রুদ্র বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার পর পূজারিরা যখন মন্দিরে পূজা করছিলেন, হঠাৎ ‘কয়েকশ লোক’ লাঠি নিয়ে হামলা চালায় এবং ল²ী ও অসুরের প্রতিমা ভাঙচুর করে চলে যায়। এতে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ‘তিন শতাধিক ব্যক্তি’ কাশিমপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী সুবল দাসের পারিবারিক মন্দিরে এবং স্থানীয় পালপাড়া নামাবাজার সার্বজনীন মন্দিরে হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তারা সামাল দিতে পারেনি। ‘শতাধিক হামলাকারী’ লাঠিসোটা নিয়ে মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) মো. জাকির হাসান জানান, হামলাকারীরা মন্দিরে থাকা সব প্রতিমা ভাঙচুর করে উল্টে ফেলে দেয়। সে সময় ২০ হামলাকারীকে ধরে স্থানীয়রা পুলিশে হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় ও জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানতে পেরেছি, আনুমানিক ৪ থেকে ৫শ লোক মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। ইতোমধ্যে পুলিশ ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পবিত্র কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে পার্বত্য বান্দরবানের লামায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশেকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী সংঘর্ষে গতকাল লামা থানার ওসিসহ উভয়পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এ সময় উচ্ছৃঙ্খল জনতা লামা কেন্দ্রীয় হরিমন্দিরের সামনে রাস্তায় নির্মিত দুর্গাপূজার প্যাণ্ডেল, পার্শ্ববর্তী প্রায় ১৫টি দোকান ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অন্তত ২০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার কাছারী মুরা শীলপাড়া পূজামণ্ডপ ও মগনামায় কয়েকটি হিন্দু বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এছাড়া পেকুয়া উপজেলা সদরের বিশ্বাস পাড়ায় কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপে একদল দুর্বৃত্ত মিছিল নিয়ে গিয়ে হামলার চেষ্টা চালায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীর সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলাকারীরা গুলি ছোড়ে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে হামলাকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। এতে পুলিশসহ ৭/৮ জন আহত হন। হামলাকারীরা গেটের সামান্য কিছু অংশ ভাঙচুর করলেও মূল পূজামণ্ডপের ক্ষতিসাধন করতে পারেনি। হামলার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ ও জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বুধবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান পেকুয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ পেকুয়া উপজেলা শাখার সভাপতি প্রদীপ কুমার সুশীল বলেন, শিলখালী ইউনিয়নের শীলপাড়া পূজামণ্ডপে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্থানীয় বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পরিকল্পিতভাবে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধাতে সরকারবিরোধীরা এ অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বুধবার রাতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও কুলাউড়ায় বেশ কিছু মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে একদল লোক মুন্সীবাজার মইডাইল পূজামণ্ডপে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করে বলে কমলগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস জানান। এছাড়া বাসুদেবপুর পুজামণ্ডপ, পতনউষার ইউনিয়নের বৃন্দাবনপুর জগন্নাথ জিওর আখড়া পূজামণ্ডপ এবং বৈরাগীর চক সার্বজনীন পূজামণ্ডপের তোরণ ও বৈদ্যুতিক বাতি ভাঙচুর করা হয় বলে জানান তিনি। মুন্সীবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সুনীল মালাকার ও রেজাউল করিম নোমান জানান, রামপুর সার্বজনীন পূজামণ্ডপ ও নারায়ণক্ষেত শব্দকর একাডেমি পূজামণ্ডপের প্রধান ফটকও ভাঙচুরের শিকার হয়েছে। কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রামভজন কৈরী কামারছড়া চা বাগান পূজামণ্ডপে প্রতিমা ভাঙচুরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। মৌলভীবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা জহর তরফদার বলেন, কমলগঞ্জে ছয়টি মন্দিরের পাশাপাশি কুলাউড়ায় আরো দুটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বলেন, এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করেছেন তারা। বিজিবি শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুবুল ইসলাম বলেন, পূজার আনন্দ যাতে কেউ মলিন না করতে পারে, সেজন্য জেলা পুলিশের পাশাপাশি ৪৬ বিজিবি থেকে দুই উপজেলায় দুই প্লাটুন বিজিবি মধ্য রাত থেকেই টহল শুরু করেছে।
বুধবার রাত ৯টার দিকে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বসবাসরত লোক শ্রী শ্রী প্রিতম সাদুর বাড়ির পূজামণ্ডপে শতাধিক দুর্বৃত্ত ও উপজেলার নলছিড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বাবা লোকনাথ পূজামণ্ডপে ৩ শতাধিক দুর্বৃত্ত হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া নোয়াখীর বেগমগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বজয়া পূজামণ্ডপ, শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউর মন্দির, দুর্গাপুর বনিকপাড়া পূজামণ্ডপে ৫০-৬০ জন দুর্বৃত্ত ভাঙচুর করার চেষ্টা করে। এ সময় তারা পূজামণ্ডপের সামনের গেটে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে মন্দিরের গেট ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় পূজামণ্ডপে কর্তব্যরত পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বুধবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের খড়িয়াল মোড় কামারপাড়ায় পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটে। শিবগঞ্জ থানার ওসি ফরিদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১১ জনকে থানায় আনা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিব আল-রাব্বি জানান, ভেঙে দেয়া মূল গেট ও প্রতিমা মেরামত করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। সনাতন সম্প্রদায় যেন সঠিকভাবে তাদের পূজা পালন করতে পারে সেজন্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ল²ীপুরের রামগতি পৌরসভার জমিদারহাট বাজার সংলগ্ন শ্রী শ্রী রামঠাকুরাঙ্গন মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ, শর্টগানের গুলি ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় পুলিশের চার সদস্যসহ অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
২২ জেলায় বিজিবি মোতায়েন : জেলা প্রশাসনের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দুর্গাপূজার নিরাপত্তা রক্ষার্থে দেশব্যাপী বিভিন্ন জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান জানান, চট্টগ্রাম কুমিল্লা, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জসহ দেশের ২২ জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তারা এরই মধ্যে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে তারা মাঠে থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চাহিদা থাকলে রাজধানী ঢাকাতেও বিজিবি মোতায়েন করা হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।