সারাদেশে পূজামণ্ডপে হামলা : চাঁদপুরে সংঘর্ষে নিহত ৩

আগের সংবাদ

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের টার্গেট কী? প্রথম ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ-সাকিবের মাঠে নামা নিয়ে দোটানা

পরের সংবাদ

বাংলাদেশ ঘেঁষা ৩ সীমান্তে বিএসএফের ‘কর্তৃত্ব’ বাড়ল

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কর্মকর্তারা পাকিস্তান ও বাংলাদেশ লাগোয়া তিন রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও পাঞ্জাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার ভেতর পর্যন্ত তল্লাশি, গ্রেপ্তার ও যে কোনো কিছু জব্দের ক্ষমতা পেয়েছেন। আগে বিএসএফের এ এখতিয়ার ছিল সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার ভেতর পর্যন্ত। স¤প্রতি সীমান্তের বিভিন্ন অংশে ড্রোনে করে অবৈধ অস্ত্র আসার পরিপ্রেক্ষিতে বিএসএফকে এ ‘অধিক ক্ষমতা’ দেয়া হয়েছে বলে দাবি দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
তাদের এ পদক্ষেপ ভারতের রাজ্যগুলোর স্বায়ত্তশাসন নিয়ে বিতর্কে ঘি ঢেলেছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী এরই মধ্যে পদক্ষেপটির কড়া সমালোচনা করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানায় এনডিটিভি। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি তার টুইটে বলেন, আন্তর্জাতিক সীমানা থেকে ৫০ কিলোমিটার ভেতর পর্যন্ত বিএসএফকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেয়ার সরকারি এ একতরফা সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। এটি ফেডারেলিজমের ওপর সরাসরি আঘাত। আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অযৌক্তিক এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিতে আবেদন জানাচ্ছি। নতুন নির্দেশনায় বিএসএফকে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, পাঞ্জাবের বাইরেও নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মনিপুর, মেঘালয়, জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখেও গ্রেপ্তার ও তল্লাশি চালানোর ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে তাদের এখতিয়ার সীমানার কতটুকু ভেতরে থাকবে তাও বেঁধে দেয়া হয়নি। গুজরাটে বিএসএফের আওতাধীন ছিল সীমান্ত থেকে ৮০ কিলোমিটার ভেতর পর্যন্ত, নতুন নির্দেশনাতে সেটি কমিয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। রাজস্থানে এ এখতিয়ার ছিল ৫০ কিলোমিটার, সেটি বহাল থাকছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ১০ রাজ্য ও দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অবৈধ কর্মকাণ্ড ঠেকাতেই বিএসএফকে ‘অধিক ক্ষমতা’ দেয়ার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে তাদের এ সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ঝামেলা বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা পর্যবেক্ষকদের। পদক্ষেপটি রাজনৈতিকভাবে খুবই সংবেদনশীল। ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বিএসএফের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সীমান্ত পাহারা দেয়া এবং অনুপ্রবেশ বন্ধ করা। সা¤প্রতিক ঘটনাগুলো দেখাচ্ছে তারা এমনকি সীমান্তরেখাই ঠিকঠাক পাহারা দিতে পারছে না। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন এই সিদ্ধান্তে সীমান্তরক্ষীদের তল্লাশি ও কোনো কিছু জব্দের পর তাদের সঙ্গে পুলিশ ও সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের প্রায়ই ‘ঝামেলা বেঁধে যেতে পারে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, তাদের এখতিয়ার হচ্ছে সীমান্ত চৌকির আশপাশ। কিন্তু নতুন ক্ষমতাবলে তারা এখন কিছু রাজ্যের ভেতরেও কার্যক্রম চালানোর এখতিয়ার পেল। তবে বিএসএফের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কাছে যদি কোনো ঘটনার বিষয়ে তথ্য আসে, তাহলে আমাদের আর স্থানীয় পুলিশের জন্য অপেক্ষা করা লাগবে না, আমরা সময়মতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়