তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন : পূর্ণ প্যানেলে জয়ী কাজিম-আয়েজ পরিষদ

আগের সংবাদ

যুদ্ধাপরাধ বিচারে স্থবিরতা ; বাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এগিয়ে নিতে সরকারের আগ্রহ নিয়ে সংশয়! ট্রাইব্যুনালেও জনবল সংকট

পরের সংবাদ

আগামী সপ্তাহের মধ্যে শুরু ড্রাইভিং লাইসেন্স বিতরণ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আবার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া শুরু হচ্ছে। আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে লাইসেন্স বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। আগামী সপ্তাহের মধ্যে বিতরণ শুরু হলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে পেন্ডিং থাকা ১২ লাখ ৪৫ হাজার স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনকারীর হাতে তুলে দেয়ার কাজ শেষ হবে। ইতোমধ্যেই লাইসেন্স ছাপার কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার স্মার্ট লাইসেন্স কার্ড ছাপা হবে। সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে (বিএমটিএফ) লাইসেন্স ছাপানোর কাজ শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১১ সালের নভেম্বর মাস থেকে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া শুরু করে। স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাপার জন্য দুই দফায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সরকারের সঙ্গে চুক্তির পরেও ওই প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাপাতে পারেনি। এরপর গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) সঙ্গে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ নতুন করে চুক্তি করে এবং স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড ছাপার কাজ শুরু হয়েছে।
বিআরটিএ সূত্র জানায়, দুই বছর আগে ১২ লাখ ৪৫ হাজার আবেদনকারী ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু লাইসেন্স ছাপানোর দায়িত্ব যে প্রতিষ্ঠানের ওপর ছিল তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করায় লাইসেন্স ছাপা ও বিতরণ আটকে যায়। এসব পুরনো আবেদন থেকে যারা লিখিত, মৌখিক এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তারাই লাইসেন্স পাওয়ার চূড়ান্ত তালিকায় রয়েছেন। সারাদেশে বিআরটিএর মোট ৫৪টি মাঠ পর্যায়ের অফিস রয়েছে। এসব অফিসের অধীনে ৭০টি সার্ভিস ডেলিভারি আউটলেট রয়েছে। এসব আউটলেট থেকেই আবেদনকারীকে ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করা হবে। বিএমটিএফের কারখানায় প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার লাইসেন্স ছাপানো হচ্ছে। পুরাতন আবেদনকারীকে প্রথমে লাইসেন্স দেয়া হবে। অনেক বিদেশগামী ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় বিদেশ যেতে পারছে না। লাইসেন্স বিতরণ শুরু হলে এবার তারাও লাইসেন্স পাবেন।
বিআরটিএর পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী জানিয়েছেন, লাইসেন্স ছাপানোর কাজ শুরু করেছি। বিভিন্ন সমস্যার কারণে এতদিন আমরা চালকদের লাইসেন্স দিতে পারিনি। এখন লাইসেন্স দিতে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে (বিএমটিএফ) ছাপার কাজ চলছে। লাইসেন্স ছাপানোর বিষয়ে যে কারিগরি জটিলতা তৈরি হয়েছিল তা কেটে গেছে। এই জটিলতার কারণেই এতদিন লাইসেন্স ইস্যু করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, প্রায় সাড়ে ১২ লাখ লাইসেন্স ছাপা হচ্ছে। গত সোমবার থেকে বিতরণের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে বিতরণ শুরু হয়নি। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই বিতরণের কাজ শুরু হবে। লাইসেন্স ছাপা হওয়ার পর প্রিন্ট হওয়া লাইসেন্স কার্ড প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে কুরিয়ার সার্ভিসে সংশ্লিষ্ট জেলা সার্কেল অফিসে পাঠিয়ে দেয়া হবে। এরপর তালিকা ধরে আবেদনকারীর মোবাইল নম্বরে এসএমএস দিয়ে সংগ্রহের তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে। এরপরই আবেদনকারী তার লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন। আবেদনকারী যে অফিসে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন, সেই অফিস

থেকেই লাইসেন্স সংগ্রহ করবেন।
তিনি আরো বলেন, ছাপার পর জেলা অফিসগুলোতে যেতে ৩ থেকে ৪ দিন সময় লাগবে। তারপরেই আবেদনকারীর হাতে পৌঁছবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে পেন্ডিংয়ে থাকা সব লাইসেন্স বিতরণ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
এদিকে, গত ৬ মাসে লাইসেন্স চেয়ে আরো ৫ লাখের মতো আবেদন জমা পড়েছে। এগুলো বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে (বিএমটিএফ) ছাপা হবে না। এগুলো মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স প্রতিষ্ঠান ছাপানোর পর বিতরণের ব্যবস্থা নেবে। যদিও ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স এখনো সাইসেন্স তৈরির জন্য পুরোপুরি সক্ষমতা অর্জন করেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে। তারপরেও এই প্রতিষ্ঠানকেই বিআরটিএ এই কাজের জন্য মনোনীত করেছে। মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স রাজধানীর পল্লবীতে তাদের অফিসে প্রতিদিন আবেদনকারীদের বায়োমেট্রিক নিচ্ছে। পরীক্ষা দেয়ার পর যাদের লাইসেন্স নানা জটিলতায় আটকে ছিল তাদেরও বায়োমেট্রিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মাদ্রাজ প্রিন্টার্সের দাবি- ইতোমধ্যে সারাদেশে প্রতিষ্ঠানটি ৬৯টি বায়োমেট্রিক মেশিন স্থাপন করেছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে যাদের পাসপোর্টের তথ্যের মিল পাওয়া যায়নি তাদের লাইসেন্স নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। এ কারণেই দেরি হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়