২৩ অক্টোবর ভোট গ্রহণ : বিএফইউজের নির্বাচনে আর বাধা নেই

আগের সংবাদ

বাঙালির মাতৃপূজা দেশমাতৃকার পূজা থেকে আলাদা নয়

পরের সংবাদ

মরা তিস্তায় ব্রিজের দাবি : ভাঙা সাঁকো দিয়ে ৮ গ্রামের মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল

প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গৌতম সরকার, কাউনিয়া (রংপুর) থেকে : কাউনিয়া উপজেলার প্রাণনাথ চর গ্রামে খলিলের ঘাট এলাকায় মরা তিস্তা নদীর ওপর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শিক্ষার্থীসহ ৮ গ্রামের মানুষ। শস্য ভাণ্ডারখ্যাত এলাকার কৃষিপণ্য পরিবহনে কৃষকদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। ভোটের আগে চেয়ারম্যান, এমপি পাকা ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দিলেও আজো নির্মাণ হয়নি ব্রিজটি।
জানা গেছে, কাউনিয়ায় চরাঞ্চলের ৮ গ্রামের মানুষের দুঃখ মরা তিস্তার এ শাখা নদীটি। হারাগাছ ইউনিয়ন ও শহীদবাগ ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে তিস্তা রেল ও সড়ক সেতু পয়েন্টে গিয়ে মিলিত হয়েছে নদীটি। বর্ষা মৌসুমে নৌকা আর বাঁশের সাঁকোই এলাকাবাসীর ভরসা। আর শুকনা মৌসুমে নদীর বুক চিরে হেঁটে চলাচল। হারাগাছ ও শহীদবাগ ইউনিয়নের সীমান্তে খলিলের ঘাট নামক স্থানে পাকা সেতু নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবি এলাকাবাসীর। ওই স্থানে সেতু না থাকায় চড় নাজিরদহ, পল্লীমারী, চাংরা, খলাইঘাট, ঠিকানার হাট, পাগলার হাট, দয়াল বাজার, বুদ্ধির বাজার, মাস্টার বাজার, প্রাণনাথ চর ও সাব্দী গ্রামের স্কুল কলেজ মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীসহ প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট বাজারে যাতায়াত করে। ওই এলাকাগুলো শস্য ভাণ্ডার হিসেবে বেশ পরিচিত। এ গ্রামগুলোতে আলু, ভুট্টা, ধান, পাট, রসুন, মরিচ, পেঁয়াজ, বাদাম, খিরা, শসাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। এসব কৃষিপণ্য হাট বাজারে নিতে অনেক ঘরে হাটে যেতে হয়। অথচ খলিলের ঘাটে পাকা সেতু নির্মাণ হলে অর্ধেক পথ কমে আসবে। সেই সঙ্গে এলাকার কৃষকরা পাবে তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য। ওই এলাকার মানুষ নৌকায় পারাপারে দুর্ভোগ কমাতে গত বর্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁশ উত্তোলন করে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল শুরু করে। সে সাঁকোটির এখন নরবড়ে অবস্থা। চাংড়া গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক মঈনুল ইসলাম ও কপিল উদ্দিন জানায়, এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হবে, এ কথা বহুদিন ধরে শুনে আসছি। কিন্তু ব্রিজ নির্মাণের কোনো আলামত দৃশ্যমান নয়। এছাড়াও হারাগাছ ও শহীদবাগ ইউনিয়নের সীমান্তে ব্রিজ নির্মাণের স্থানটি হওয়ায় দুই চেয়ারম্যানের রশি টানাটানিতে ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ বারবার ভেস্তে যাচ্ছে।
হারাগাছ ইউপি চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান পলাশ বলেন, সেতু নির্মাণের বিষয়টি অনেকবার সমন্বয় সভায় বলেছি। শহীদবাগ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আ. হান্নান বলেন সেতু নির্মাণের বিষয় মন্ত্রী মহদয়কে বলেছি।
উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমি বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের সুপারিশ নিয়ে পাকা সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পঠানো হয়েছে বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়