২৩ অক্টোবর ভোট গ্রহণ : বিএফইউজের নির্বাচনে আর বাধা নেই

আগের সংবাদ

বাঙালির মাতৃপূজা দেশমাতৃকার পূজা থেকে আলাদা নয়

পরের সংবাদ

বাবরের দুর্নীতি ও রেইনট্রিতে ধর্ষণ মামলার রায় আজ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রকি আহমেদ : দুটি আলোচিত মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ মঙ্গলবার। এর মধ্যে একটি হলো বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা। আরেকটি হলো বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা। উভয় মামলার আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট আইনের ধারায় তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
বাবরের দুর্নীতি মামলা : ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে রমনা থানায় বাবরের বিরুদ্ধে দুদকের চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এজাহারে বলা হয়, সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেয়ার জন্য ২০০৭ সালের ৫ জুলাই বাবরকে নোটিস দেয় দুদক। পরে দুদক তার সম্পদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। এ মামলায় ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। সর্বশেষ গত ৪ অক্টোবর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে ১৩ বছর ধরে ঝুলে থাকা মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম। এ যুক্তি উপস্থাপনে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চাওয়া হয়। উল্লেখ্য লুৎফুজ্জামান বাবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
রেইনট্রিতে শিক্ষার্থী ধর্ষণ : ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত সাফাতসহ বাকি আসামিরা দুই নারী শিক্ষার্থী ও তাদের এক বন্ধুকে আটকে রাখে। পরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যায় আসামিরা। এরপর মামলার বাদী শিক্ষার্থীকে সাফাত আহমেদ ও তার বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় মামলা হলে পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে সে বছর ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম, সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন। চার্জশিটের পরের মাসে ১৩ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। পরে এ মামলায় মোট ৪৭ সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এরপর গত ৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়