তরুণীরাই মূল টার্গেট : একটি চক্রের হাতে ২ হাজার নারীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক

আগের সংবাদ

সিসিটিভির আওতায় আসছে রাজধানী : এ মাসেই হতে পারে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

পরের সংবাদ

বদলগাছী মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগে গড়িমসি : শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ার শঙ্কা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নওগাঁ প্রতিনিধি : বদলগাছী মহিলা কলেজে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব না দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে কলেজ কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে জ্যেষ্ঠতম পাঁচজন শিক্ষককে বাদ দিয়ে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ১৩তম স্থানে থাকা প্রভাষক মাহবুব আলমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গত ২ বছরে ধরে অধ্যক্ষ নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। কিন্তু অন্য কয়েকটি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করায় অভিযোগ উঠেছে সভাপতি এম জামান পিন্টুসহ গভর্নিং বডির সদস্যদের প্রতি। এতে করে কলেজটিতে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, অধ্যক্ষ সাজ্জাদ হোসেন চৌধূরী অবসর নেয়ায় ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর পদটি শূন্য হয়। কলেজ শিক্ষকদের চাকরির শর্তাবলি রেজুলেশন অনুসারে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে কলেজের পাঁচজন শিক্ষকের মধ্য থেকে একজনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়ার নিয়ম। কিন্তু গভর্নিং বডির সভাপতি এম জামান তার নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে বিধিবহির্ভূতভাবে ১৩তম স্থানে থাকা প্রভাষক মাহবুব আলমকে স্থায়ীভাবে দায়িত্ব দিতে পারেন বলে অভিযোগ। প্রভাষক আবু হেনা মো. হাসনাত ২০২০ সালের ১৯ মার্চ কলেজের গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন শিক্ষক মেহেদী হাসানকে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়। বিধিবহির্ভূতভাবে গভর্নিং বডির তিনজন শিক্ষক প্রতিনিধির স্থলে চারজন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়। ২০২০ সালের ৮ জুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজের শিক্ষকদের নিয়ে এক বৈঠক করেন এবং নিজের সিদ্ধান্তমতো শিক্ষক প্রতিনিধিদের মেয়াদকাল দুই বছরের স্থলে এক বছর করেন। সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাদের মনোনীত চারজন শিক্ষক প্রতিনিধি নিয়ে বেআইনি ও বিধিবহির্ভূতভাবে কলেজের গভর্নিং বডির কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহবুব আলম মামুন বলেন, তৎকালীন কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি স্থানীয় সাংসদ ছলিম উদ্দিন তরফদার আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, তিনজন শিক্ষকের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে দুজন নির্বাচিত হয়েছিল। পরে সবার সম্মতিক্রমে দুজনকে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে রাখা হয়েছে। এজন্য গভর্নিং বডির তিনজন শিক্ষক প্রতিনিধির স্থলে চারজন শিক্ষক প্রতিনিধি হয়েছে। শিক্ষক প্রতিনিধি বিভিন্ন মেয়াদে হয়ে থাকে। নিয়মবহির্ভূত কোনো কিছুই করা হয়নি। তবে আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর কোনো ধরনের অনিয়ম করা হয়নি। আর যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।
বদলগাছী মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি এম জামান পিন্টু বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়টি আগের কমিটি করে গেছে। গত তিন মাস আগে কলেজের সভাপতি হয়েছি এবং শিক্ষকদের নিয়ে কয়েকটি মিটিং হয়েছে। স্বেচ্ছাচারিতা এবং অনিয়মের যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। স্থায়ীভাবে অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়টি ভেবে দেখা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়