গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব : শিল্পকলায় দ্বিতীয় দিনে ছিল দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়

আগের সংবাদ

জাতিসংঘ থেকে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার নেপথ্যে আন্তর্জাতিক নিষ্ক্রিয়তা

পরের সংবাদ

রাজবাড়ীতে দফায় দফায় পদ্মার ভাঙন : নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন মানুষ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

লিটন চক্রবর্তী, রাজবাড়ী থেকে : রাজবাড়ী শহর রক্ষায় স্থায়ীভাবে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধে দফায় দফায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। শুক্রবার বিকাল থেকে শুরু হওয়া ভাঙনে রাজবাড়ী শহরের দুধারে ২০০ মিটারের বেশি এলাকার কংক্রিটের সিসি ব্লক নদীতে বিলীন হয়েছে। নদী এসে ঠেকেছে শহরের বেড়িবাঁধে। ফলে আতঙ্কে নির্ঘুম

রাত কাটছে নদী পাড়ের মানুষের। ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে বিদ্যালয়, মসজিদ, বাড়িঘরসহ অসংখ্য স্থাপনা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী শহর রক্ষায় পদ্মা নদীর ডান তীরে সাড়ে ৭ কিলোমিটার এলাকায় কংক্রিটের সিসি ব্লক দিয়ে স্থায়ীভাবে নদী তীর সংরক্ষণের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ৩৭৬ কোটি টাকা। কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিযুক্ত হয় খুলনা শিপইয়ার্ড। তবে খুলনা শিপইয়ার্ডের পক্ষে কাজ সম্পন্ন করে ডিবিএল নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ২০১৮ সালে শুরু হয় কাজ শেষ হয় চলতি বছরের ৩১ মে। কাজ শেষ হওয়ার পর গত ১৬ জুলাই থেকে ভাঙন দেখা দেয়। দফায় দফায় ভাঙনে গতকাল পর্যন্ত মোট ১ কিলোমিটারের বেশি এলাকার কংক্রিটের সিসি ব্লক পদ্মায় বিলীন হয়েছে। গত সপ্তাহে ভাঙনে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মানুষের বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়েছে।
সরজমিন দেখা যায়, পদ্মা নদীর রাজবাড়ী শহরের গোদারবাজার এলাকায় শহর রক্ষায় স্থায়ীভাবে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধে নতুন করে ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনে ২০০ মিটারের বেশি এলাকার কংক্রিটের সিসি ব্লক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পদ্মা নদী চলে এসছে শহরের বেড়িবাঁধের কাছে। স্থানবিশেষে কোথায় নদী বেড়িবাঁধসংলগ্ন আবার কোথায় ৫ থেকে ৭ মিটার দূরে। ভাঙনঝুঁকিতে থাকা ৬টি পরিবারের তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে নিয়েছে। বাঁধের ওপারে রাজবাড়ী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড। তাই ভাঙনঝুঁকিতে বেড়িবাঁধসহ নানা স্থাপনা। তাই নির্ঘুম রাত কাটছে নদী পাড়ের মানুষের। পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ শেষ হওয়ার পরই এমন ভাঙনে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ- পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। যার কারণে দ্রুত সময়ে পদ্মায় বিলীন হয়েছে বাঁধ। সরকারের উচিত তদন্ত কমিটি গঠন করে অনিয়ম চিহ্নিত করা।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহাদ আলী বলেন, নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে। চার বছর আগে পদ্মার প্রবাহ ছিল নদীর মাঝ দিয়ে। সেই সময়ের পরিস্থিতি অনুসারে কাজের নকশা করা হয়েছে। কিন্তু এ বছর পদ্মা নদীর মূল প্রবাহটাই চলে এসেছে পদ্মার ডান তীরে। ফলে স্রোতের কারণে প্রতিদিন গভীর হচ্ছে মাটি সরে সরে। ফলে সিসি ব্লকগুলো দেবে যাচ্ছে। আর এই ভাঙনে এখন বেড়িবাঁধ কিছুটা হলেও রয়েছে ঝুঁকিতে। তবে বেড়িবাঁধ রক্ষা আর ভাঙন প্রতিরোধের জন্য জিও ব্যাগ ও টিউব ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আশা করি, বেড়িবাঁধ রক্ষা পাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়