গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব : শিল্পকলায় দ্বিতীয় দিনে ছিল দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়

আগের সংবাদ

জাতিসংঘ থেকে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার নেপথ্যে আন্তর্জাতিক নিষ্ক্রিয়তা

পরের সংবাদ

অর্থ আত্মসাৎ ; ই-অরেঞ্জের মালিক দম্পতির বিরুদ্ধে আবার মামলা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিনকে এক নম্বর আসামি করে তার স্বামী মাসুকুর রহমান ও ভাই বনানী থানার পরিদর্শক শেখ সোহেল রানাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আবার মামলা করা হয়েছে। এবার প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ২৭ গ্রাহকের ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভুক্তভোগীদের পক্ষে মো. নাসিম প্রধান ঢাকার বিচারিক আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে রাজধানীর গুলশান থানাকে অভিযোগ গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন। তবে মামলার এজাহারে বাদীর জায়গায় নাসিমসহ ২৭ জন গ্রাহকেরই নাম উল্লেখ রয়েছে।
এ মামলায় বাকি আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্লাহ চৌধুরী, জায়েদুল ফিরোজ, নাজনীন নাহার বিথী ওরফে বিথী আক্তার ও নাজমুল হাসান রাসেল।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ই-অরেঞ্জের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন অফার দিয়ে আসামিরা স্বল্পমূল্যে বিভিন্ন পণ্য বিক্রির জন্য গ্রাহকদের আকৃষ্ট করেন। পরে সেসব পণ্যের বিপরীতে অগ্রিম মূল্য নেন। এভাবে এ মামলার ২৭ জন বাদীর কাছ থেকে বিভিন্ন পণ্য ক্রয়ের জন্য মোট ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯১ হাজার ৭৯ টাকা গ্রহণ করে রিসিট দেন। কিন্তু পণ্য ডেলিভারি করতে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করে ই-অরেঞ্জ। সর্বশেষ মালিকানা হস্তান্তর হওয়ার কথা বলে সব ধরনের পণ্য ডেলিভারি স্থগিত করে আসামিরা আত্মগোপন করেন। এর মধ্যে মামলার দুই নম্বর আসামি পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা ভারতে আত্মগোপনের সময় ধরা পড়লে সেটার সংবাদ দেখে গত ৬ সেপ্টেম্বর বাদীরা ই-অরেঞ্জের অফিসে যান। কিন্তু অফিসে তালা থাকায় বাদীরা মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন। পণ্য বা টাকা না দিয়ে তাদের বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে প্রতারণা করা হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া গত ১৬ আগস্ট অর্ডার করে পণ্য না পাওয়ায় ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে তাহেরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি নিজেসহ ৩৭ ভুক্তভোগীর পক্ষে বাদী হয়ে গুলশান থানায় প্রথমবারের মতো একটি প্রতারণার মামলা করেন। পণ্য ডেলিভারি বা টাকা না দিয়ে ১ লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে তাদের এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এ মামলায় আসামিদের প্রথমে পাঁচ দিন ও পরে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। এছাড়া গত ৪ সেপ্টেম্বর ৭৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সোনিয়া, মাসুকুর, সোহেল রানা, আমান উল্লাহসহ ই-অরেঞ্জের ১০ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আরেকটি মামলা করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়