কাগজ প্রতিবেদক, রাজশাহী : চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সর্দার ও বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে খাজা মইন উদ্দীনকে প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার রাসেলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে ওই তদন্ত কমিটি। এছাড়া ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলের রহস্যজনক বদলির গুঞ্জনের বিষয়টিও নিষ্পত্তি হয়ে রামেক হাসপাতালেই তার চাকরি স্থায়ী হয়েছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ‘চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় প্রাণনাশের হুমকি’ শিরোনামে ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ এবং তৎক্ষণাৎ এসব ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলেকে প্রাণনাশের হুমকির বিষয়টি নিয়ে ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি করা হয় রামেক হাসপাতাল প্রশাসনের সহকারী পরিচালক ডা. আব্দুল হান্নানকে। আর অর্থপেডিক্স সার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ সোহেল হয়েছেন কমিটির সদস্য। এছাড়া হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোকতার আলীকে করা হয়েছে কমিটির সদস্য সচিব। তারা তদন্ত কাজ শুরু করে সর্বশেষে হাসপাতালের ১০ কর্মচারীর লিখিত সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। এছাড়া অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি ইস্যু করতে নির্দেশ দিয়েছেন রামেক হাসপাতাল পরিচালক। তবে অভিযোগের পর প্রাণনাশের হুমকি ছাড়াও ওয়ার্ড মাস্টার রাসেলের অনিয়ম ও চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়গুলোও উঠে আসছে বলে দাবি করেন অভিযোগকারী খাজা মইন উদ্দীন। আর এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে তারপরই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম ইয়াজদানী।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।