বুকে ব্যথার অজুহাত : হাসপাতালে ঘুরে থানায় ইভ্যালির এমডি

আগের সংবাদ

আজ ১৬১ ইউপিতে ভোট : বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় ৪৩ আ.লীগ প্রার্থী বিজয়ী

পরের সংবাদ

সাজ পোশাকের সময়ই এখন!

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

করোনার চোখ-রাঙানিতে সব অনুষ্ঠানেই এসেছে সীমাবদ্ধতা। বিয়ে, জন্মদিন তো বটেই; বাড়িতে কিংবা বাইরে স্বল্পসংখ্যক মানুষ নিয়ে বেশির ভাগ আয়োজনই এখনো হচ্ছে সীমিত পরিসরে। তাই ওয়ারড্রবে তুলে রাখা এসব নিমন্ত্রণের পরে যাওয়ার মতো শাড়ি – গয়না, কামিজ, পাশ্চাত্য পোশাকগুলোও ধুলা-ময়লা ঝেড়ে যেন প্রস্তুত। তাই দাওয়াতের ধরন বুঝে সাজ পোশাকের সময়ই যেন এখন!

শাড়িতে সুন্দর
করোনায় বদলে গেছে যাপিতজীবনের ধরন। পরিবর্তন এসেছে সাজ পোশাকের ধরনেও। এখন জৌলুনপূর্ণ বাড়তি নয়, বরং এখন কম সাজের যুগ। জমকালো সাজ রাতের জন্য এটা আমরা জানি। চাইলে এ সময়ে দিনের বেলাতে হালকা সাজ বেছে নিতে পারেন। দাওয়াতের ধরন আর সময় বুঝে বেছে নিতে হবে শাড়ি আর সে অনুযায়ী সাজ। তবে দিনের পার্টিতে হালকা পোশাক ভালো লাগে। এখন সুতি শাড়িতে নকশার বৈচিত্র্যতা দেখা যায়। সুতি শাড়ি হয়ে ওঠে এক একটা শিল্প। শাড়ির ওপর নকশিকাঁথার কাজ, ব্লক বা স্ক্রিন প্রিন্ট- ডিজাইন করা শাড়ি অনায়াসে দিনের পার্টিতে পরা যেতে পারে। হালকা রঙ বাছতে হবে দিনের নিমন্ত্রণে। কাঁথাফোঁড়, মসলিন, সিল্ক, জামদানি মানানসই যেকোনো দাওয়াতেই। তবে নকশা ভারী না হালকা, তা নির্ভর করবে রাতদিন বা আয়োজনের ওপর। ফ্যাশনে শাড়ি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ব্লাউজও কম গুরুত্ব বহন করে না। বাহারি কাটিংয়ের ব্লাউজ এখনকার ট্রেন্ড। তবে অনুষ্ঠানের ধরন বুঝে ব্লাউজ বেছে নেওয়া ভালো। গরমে অনেকে শর্টসিøপ, স্ট্রিপ পছন্দ করছেন, অনেকে কোমর পর্যন্ত ঝুলের ব্লাউজ পরছেন। হাইনেকও মানিয়ে যায় অনুষ্ঠানে। এটা আসলে যার যার রুচি অনুযায়ী আর কমফোর্ট জোনটাও বিবেচ্য বিষয়।
চুল ও সাজ

মনে রাখবেন, চটজলদি নিজের লুক পরিবর্তন করতে হলে চুলের সাজটাই আসল। তবে চুলের ধরন ও ফেসের কাটিং বুঝে সেই সাজ নিতে হবে। চুল বাঁধার ধরনে পরিবর্তন সঙ্গে লিপস্টিক ও ব্লাশন পোশাকের পাইপেন বা লেইসের সঙ্গে মিলিয়ে দিতে পারেন। তবে গাঢ় রঙের হলেই ভালো। বন্ধুদের সঙ্গে কোনো আড্ডায় এই সাজের সঙ্গে টপ-স্কার্ট পরে যেতে পারেন। সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে ব্লো-ড্রাই করে রাখতে পারেন। ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গে চুল খোলা রাখা যেতেই পারে। আবার পনিটেল করে পার্টিতে চলে গেলেও মন্দ লাগবে না। নিমন্ত্রণের সাজের ক্ষেত্রে বেইজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। চোখ স্মোকি করে কাজল দিয়ে টেনে এঁকে দিলে মানাবে। আর রুপাালি-সোনালি রঙের আইশ্যাডো চোখের ওপরের দিকে হাইলাইটস হিসেবে দিলে নজরকাড়া চোখ হবে। এছাড়া ঘরে বসে সাজার জন্য এখন মেকআপ টুলস যেমন হাতের নাগালে, তেমনি ইউটিউবে রয়েছে অনেক রকম টিউটোরিয়াল, তাই ঘরে বসে যে কোনো সাজ এখন অনেক বেশি সহজ।
ফ্রক-সালোয়ার-কামিজে স্বাচ্ছন্দ্য
গরম আর বর্ষার জন্য অনেকে সালোয়ার-কামিজ বেছে নিচ্ছেন। আবার কর্মব্যস্ততার শহরে হঠাৎ নিমন্ত্রণের ডাক পড়লে একটু দিশেহারাই লাগে। সে ক্ষেত্রে ব্যাগে করে একটা সালোয়ার-কামিজ, সঙ্গে কিছু মেকআপ টুলস নিয়ে নিলেও চট করে পার্টিতে যোগ দেওয়া যায়। তবে পার্টিতে পরতে হলে কামিজ গর্জিয়াস হতে হবে। এখন লংশেপের কামিজ বেশি চলছে। এলোমেলো ঝুলের কাটিং এখনকার ট্রেন্ড। হাতায়ও এসেছে বৈচিত্র্যময় ডিজাইন। ফ্রক কাটের লং পোশাকও আপনাকে দিবে ভিন্ন লুক।
কাজ এবং সাজ পোশাক

লকডাউন শেষে খুলে গেছে অফিসও। মূলত অফিসে কাজটাই মুখ্য, সেখানে সাজ- পোশাকের দিকে অতটা নজর না দিলেও চলে এমন ধারণা বর্তমান যুগে অচল। স্মার্ট, পরিচ্ছন্ন গেটআপ আপনাকে করে আত্মবিশ্বাসী, যা অফিসের কাজেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই আপনার সাজ-পোশাকও যখন ব্যক্তিত্বের মাপকাঠি হয়ে ওঠে, তখন প্রয়োজন এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা। প্রতিদিন কী পোশাক পরে কাজে যোগ দেবেন, সেটার উপর চিন্তা করে বা আপনার অফিসের ধরন বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নিন। শাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ না করলে ফরমাল ফুলস্লিভ সালোয়ার-কামিজ পড়তে পারেন অথবা বিজনেস স্যুটেও মেয়েদের বেশ মানিয়ে যায়। কী ধরনের গহনা, জুতা বা ব্যাগ ব্যবহার করবেন তা নিয়েও ভাবনা-চিন্তার প্রয়োজন আছে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করার জন্য কর্মদক্ষতার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন এক সুন্দর পরিশীলিত ব্যক্তিত্বের উপস্থাপনা। অফিসে কম সময়ে নিখুঁত কাজ করার ক্ষমতা ছাড়াও আরও যে জিনিসটা সবাই লক্ষ করেন তা হলো আপনার ড্রেস সেন্স।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়