কারচাপায় স্কুলছাত্র নিহত, সড়ক অবরোধ

আগের সংবাদ

শঙ্কা নিয়ে আনন্দের পাঠে ফেরা

পরের সংবাদ

ভালোবাসায় ভরা সেরা সিনেমা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বলিউডের সিনেমা মানেই একটি বড় অংশজুড়ে থাকবে প্রেম ও ভালোবাসা। নাচে, গানে ভরপুর দুর্দান্ত সব ভালোবাসার গল্পকে তুলে আনা হয় দর্শকের সামনে। জেনে নিন বলিউডের সেরা ভালোবাসার সিনেমাগুলোর কথা
মুঘল-ই-আজম (১৯৬০)
পাঁচ যুগ পেরিয়ে গেছে, তারপরও এখনো অ¤øান মুঘল-ই-আজম। শুধু সেরা প্রেমের ছবি হিসেবে নয়, বলিউড ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ছবির নাম নিলেও এ ছবিকে অগ্রাহ্য করা যাবে না। ভারতজুড়ে মুক্তি পেয়েছিল পরিচালক কে আসিফের একমাত্র সার্থক এই সৃষ্টি। মুঘল সম্রাট আকবর-পুত্র সেলিমের সঙ্গে সাধারণ নর্তকী আনারকলির প্রেমকাহিনী নিয়ে নির্মিত এই ছবির অসাধারণ সেট, ধ্রæপদী নৃত্য, হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গানগুলো আজো প্রযোজক-পরিচালক থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শকদের সমানভাবে দোলা দেয়। ক্ল্যাসিক এই ভালোবাসার গল্পে অভিনয় করেছিলেন পৃথ্বীরাজ কাপুর, দিলীপ কুমার, মধুবালা প্রমুখ।

সিলসিলা (১৯৮১)
প্রেম এবং পরকীয়া নিয়ে সিলসিলা ছবিটি নির্মাণ করে হিন্দি ছবির জগতে রীতিমতো আলোড়ন তুলেছিলেন প্রযোজক-পরিচালক যশ চোপড়া। অমিতাভ-রেখার প্রেমময় সম্পর্ক নিয়ে তখন বাস্তবে বেশ গুঞ্জন চলছিল। রেখার কারণে অমিতাভ-জয়ার দাম্পত্য জীবনে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছিল। যশ চোপড়া ঠিক সেই সময়ে ত্রিভুজ সম্পর্কের অদ্ভুত এক প্রেমের গল্প নিয়ে সিলসিলা ছবিটি নির্মাণ করেন।

দেবদাস (১৯৫৫)
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অমর প্রেমকাহিনী দেবদাস অবলম্বনে বিমল রায় পরিচালিত এই ছবি হিন্দি ছবির ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল অবস্থানে রয়েছে। এই ছবিতে দেবদাস চরিত্রে দিলীপ কুমারের অপূর্ব অভিনয়ের কথা দর্শক কখনোই ভুলতে পারবে না। ছবিটিতে পার্বতী চরিত্রে ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন। চন্দ্রমুখী চরিত্রে বৈজয়ন্তীমালা।

কেয়ামত সে কেয়ামত তাক (১৯৮৮)
আশির দশকের শেষে এক নতুন রেকর্ডের সূত্রপাত করে আমির খান ও জুহি চাওলা অভিনীত কেয়ামত সে কেয়ামত তাক। এই ছবি দিয়েই রাতারাতি তারকা হয়ে যান আমির খান। মনসুর খান পরিচালিত এ ছবিতে সেই সময়ের সম্পূর্ণ নতুন মুখের নায়ক-নায়িকা আমির খান ও জুহি চাওলা তাদের ‘ফ্রেশ লুক’ এবং চমৎকার সাবলীল রোমান্টিক অভিনয়ের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবেই সবার হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছিলেন।

দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে (১৯৯৫)
আদিত্য চোপড়া পরিচালিত এ ছবিতে শাহরুখ খান ও কাজলের মিষ্টি প্রেমের অভিনয় ছবিটিকে চির অমর করে রেখেছে। এ ছবির শেষ দৃশ্যে রেলস্টেশনে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার সময় কাজল আর শাহরুখের দৃশ্যটিকে বিবেচনা করা হয় বলিউডের সর্বকালের অন্যতম সেরা রোমান্টিক দৃশ্য হিসেবে। ছবিটি ১০টি ক্যাটাগরিতে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়।

ম্যায়নে পেয়ার কিয়া (১৯৮৯)
এই ছবির প্রতিটি গানই ছিল তখনকার সময় সুপার ডুপার হিট, বিশেষ করে ‘কবুতর যা যা’ গানটি ছিল সবার মুখে মুখে। মিষ্টি প্রেমের কাহিনী নিয়ে নতুন নায়ক-নায়িকা সালমান খান আর ভাগ্যশ্রী তখন বলিউডে নতুন জুটির আগমনী বার্তা শুনিয়েছিলেন। ধনী-গরিবের সামাজিক বৈষম্য ও প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে নির্মিত ছবিটিতে শিল্পীদের অভিনয়, গান, নাচ- সবকিছুতেই ছিল ভালো লাগার মতো বেশ কিছু নতুনত্বের ছোঁয়া।

হাম দিল দে চুকে সানাম (১৯৯৯)
সঞ্জয় লীলা বানসালির হাম দিল দে চুকে সানাম ছবিটি সুপারহিট হয়। অভিনয়-প্রতিভা দিয়ে ঐশ্বরিয়া বলিউডকে নিজের জাত চেনান এই ছবি দিয়েই। সালমান খান, ঐশ্বরিয়া রাই ও অজয় দেবগান অভিনীত এ ছবির নির্মাণেও ছিল অপূর্ব চমক।
লামহে (১৯৯১)
রোমান্সের কারিগর যশ চোপড়া পরিচালিত ছবি ‘লামহে’। ছবিটির মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনিল কাপুর ও শ্রীদেবী। দুজনের প্রেমের মধ্যকার সুন্দর স্মৃতি, মুহূর্ত, সহনশীলতা ও সম্মানবোধের বিষয়টি ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে।

ওম শান্তি ওম (২০০৭)
২০০৭ সালের সাড়া জাগানো সিনেমা ‘ওম শান্তি ওম’-এর মাধ্যমে পর্দায় অভিষেক হয় শাহরুখ খান-দীপিকা পাড়ুকোন জুটির। ফারাহ খানের পরিচালনায় এই মিউজিক্যাল-রোমান্স ঘরানার সিনেমাটিকে এ সময়ের অন্যতম সেরা ভালোবাসার ছবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৭০ সালের পটভূমিতে বলিউডের এক তরুণ অভিনেতা ওম ও নামকরা অভিনেত্রী শান্তিপ্রিয়ার প্রেমকাহিনী এ সিনেমায় তুলে ধরা হয়। অসৎ পরিচালকের প্রতারণার শিকার শান্তিকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়। পরবর্তী সময়ে ওম ও শান্তি আবারো পুনর্জন্ম লাভ করে আধুনিক যুগে। এমনই এক কাহিনী নিয়ে নির্মিত এ সিনেমাটি পুরস্কৃত হয়েছে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে।

জাব উই মেট (২০০৭)
বিষণ্ন এক ব্যবসায়ীর জীবনই পাল্টে গেল যখন তার সঙ্গে প্রাণোচ্ছল এক মেয়ের দেখা হলো। দেখা থেকে বন্ধুত্ব এবং প্রেম। ইমতিয়াজ আলী পরিচালিত বলিউডে সাড়া জাগানো ছবি ‘জাব উই মেট’-এর মূল চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছেন শহীদ কাপুর ও কারিনা কাপুর।

ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি (২০১৩)
২০১৩ সালের এ সিনেমাটি নানা কারণেই পরিণত হয়েছে বলিউডের অন্যতম সেরা রোমান্টিক সিনেমায়। সাবেক প্রেমিক জুটি রণবীর কাপুর ও দীপিকা পাড়ুকোন বিচ্ছেদের পর প্রথমবারের জন্য এ ছবির মাধ্যমেই জুটিবদ্ধ হন। চার বন্ধুর মজার সম্পর্ক নিয়ে এ সিনেমার কাহিনী তৈরি হয়েছে। বেশ কিছু পুরস্কার জিতে নেয় অয়ন মুখার্জি পরিচালিত এ সিনেমাটি।

গোলিও কা রাস লীলা : রাম-লীলা (২০১৩)
উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের সাড়াজাগানো নাটক ‘রোমিও-জুলিয়েট’-এর গল্পকে আধুনিক ভারতের পটভূমিতে তুলে আনেন সঞ্জয় লীলা বানসালি। সিনেমাটিকে এ সময়ের অন্যতম সেরা বিয়োগান্তক সিনেমা হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে। প্রভাবশালী ও শত্রæভাবাপন্ন দুই পরিবারের ছেলেমেয়ে রাম ও লীলার প্রেম, বিরহ ও বিচ্ছেদের করুণ কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমটি। ২০১৩ সালের এ সিনেমাটি প্রথমবারের মতো পর্দায় দেখা মেলে দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিং জুটিকে।

অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল (২০১৬)
২০১৬-র অন্যতম আলোচিত রোমান্টিক ছবি ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ নানা কারণেই দর্শক মহলে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। রণবীর কাপুর ও আনুশকা শর্মার অসাধারণ অভিনয় ছাড়াও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও রণবীর কাপুরের অসম প্রেমের দৃশ্যায়ন ছিল এ সিনেমার অন্যতম আকর্ষণ! করন জোহর পরিচালিত এ সিনেমাটি বক্স অফিসে দারুণ ব্যবসা করেছে। এ ছাড়াও ফিল্মফেয়ার, স্ক্রিন, স্টারডাস্টসহ জিতে নিয়েছে নামি-দামি সব পুরস্কার।
:: মেলা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়