ই-অরেঞ্জের সাবেক সিওও রাসেল রিমান্ডে

আগের সংবাদ

যাত্রীসেবার মান তলানিতে : সড়ক আইন প্রয়োগে উদাসীনতা > নির্দেশনা দিয়েই দায়িত্ব শেষ কর্তৃপক্ষের

পরের সংবাদ

টেকেরঘাট-মহেষখলা সড়ক : ভোগান্তিতে দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাসহ পর্যটকরা

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাজ্জাদ হোসেন শাহ, তাহেরপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার অন্যতম পর্যটন স্পট টেকেরঘাট শহীদ সিরাজ লেক, যেখানে প্রতিদিন হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটে। জেলা সদর সুনামগঞ্জ থেকে টেকেরঘাটে সড়কপথে আসার একমাত্র সড়ক হলো টেকেরঘাট-মহেষখলা সড়ক। বর্তমানে সড়কটি ভোগান্তির আরেক নামে পরিণত হয়েছে। পর্যটক ছাড়াও এ সড়ক দিয়ে উপজেলার সীমান্তবর্তী উত্তর শ্রীপুর ও পার্শ্ববর্তী বড়দল উত্তর ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার লোকের জেলা সদরে আসা-যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির উত্তর বড়দল ইউনিয়নের বারেকের টিলার উপরে পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তার পুরোটাই খানাখন্দ আর গর্তে ভরা। সড়কের বারেকের টিলা ছোট টিলার উপর আঁকাবাঁকা অংশটি নির্মাণের পর গত ২০ বছরে একাধিকবার সড়কটি ভেঙে যানবাহন ও পথচারী চলাচলের অনুপযোগী হলেও এটি মেরামতে নেয়া হয়নি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ। এতে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ এখানে আসা পর্যটকরা পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে। প্রতিদিন ঘটছে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা।
এছাড়া সড়কের চাঁনপুর রজনীলাইন এলাকায় পাহাড়ি ঢলে প্রায় আধা কিলোমিটার সড়ক ভেঙে খাল হয়ে গেছে। গত বছর তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হাজি আলকাছ উদ্দিন খন্দকার নিজ অর্থায়নে খালটি ভরাট করে দিলেও এ বছর বর্ষার শুরুতেই আবারো তা খালে পরিণত হয়েছে।
তাছাড়া উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের শহীদ সিরাজ লেকের সামনে এবং টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পের (বর্তমানে বন্ধ) ওয়েট ব্রিজের সামনে ও লাকমা বাজারের সামনে সড়ক পাকা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁদা ও গর্তে ভরপুর হয়ে যানবাহন ও পথচারী চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। ফলে আগত পর্যটক ও এলাকাবাসীকে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।
চট্টগ্রাম থেকে আসা পর্যটক আব্দুল্লাহ আল মোজাম্মেল জিলানী বলেন, নৌকা দিয়ে টেকেরঘাট নেমে অটোরিকশা নিয়ে পরিবারের সদস্যসহ গিয়েছিলাম লাকমাছড়ায়। কিন্তু সড়কটি খানাখন্দ আর গর্তের কারণে পথে অটো উল্টে আমরা পড়ে যাই। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের এমন বেহাল অবস্থা মেনে নেয় যায় না।
কয়লা আমদানিকারক উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের কলাগাঁও গ্রামের কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ব্যবসায়িক কাজে প্রতিদিন শুল্ক স্টেশন বড়ছড়ায় আসা-যাওয়া করতে হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সড়কের বেহাল অবস্থায় এলাকাবাসীসহ দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
তাহিরপুর উপজেলা প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক এম এ রাজ্জাক স্বাধীনতা বলেন, উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। সড়কটির পাশে রয়েছে তিনটি শুল্ক স্টেশন। যেখান থেকে সরকার প্রতি বছর প্রায় ২০০ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে। অথচ এ সড়কটির রজনীলাইন, টেকেরঘাট, লাকমা ও বীরেন্দ্রনগরের রঙ্গাছড়ায় দীর্ঘদিন ধরে বর্ষা মৌসুম এলেই সড়ক ভেঙে খানাখন্দ আর গর্ত হয়ে যানবাহন ও পথচারী চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে ২ ইউনিয়নবাসীসহ আগত পর্যটকদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। আশা করি, সংশ্লিষ্টরা সড়কটি মেরামতের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করে সড়কটি যানবাহন ও পথচারী চলাচলের উপযোগী করে দেবেন।
এলজিইডি তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইকবাল কবীর জানিয়েছেন, টেকেরঘাট-মহেষখলা ২৮ কিমি সড়কটি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রæত বিশেষ প্রকল্পের সড়ক। এটি এখন একনেকে অনুমোদন হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তাছাড়া ছোট খাটো যে সড়কগুলো কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো সংস্কারের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়