ই-অরেঞ্জের সাবেক সিওও রাসেল রিমান্ডে

আগের সংবাদ

যাত্রীসেবার মান তলানিতে : সড়ক আইন প্রয়োগে উদাসীনতা > নির্দেশনা দিয়েই দায়িত্ব শেষ কর্তৃপক্ষের

পরের সংবাদ

আয়োজনে ছাত্রলীগ : স্মরণসভায় দাওয়াত পাননি এমপি লিপি সমালোচনার ঝড়

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে আগস্টে শহীদদের স্মরণসভায় কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপিকে দাওয়াত না দেয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে।
দলীয় নেতাকর্মী ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টে নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ছোট বোন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপিকে দাওয়াত দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
দাওয়াত না পাওয়ায় ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি দিনব্যাপী নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করলেও ছাত্রলীগের আয়োজনে স্মরণসভায় যাননি। তিনি ওই দিন হোসেনপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ, গাছের চারা রোপণ, মৎস্য অবমুক্তকরণ, কিশোরগঞ্জ শহরের শোলাকিয়ায় প্রয়াত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।
এদিকে ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপিকে ছাত্রলীগের আয়োজনে ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের শহীদদের স্মরণ অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেয়ায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের একাংশসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান নয়ন এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ছোট বোন সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপিকে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেয়া খুবই দুঃখজনক।
আওয়ামী লীগের ক্ষুব্ধ অনেক নেতাকর্মী জানিয়েছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর আওয়ামী লীগের অনেকেই তৎকালীন সরকারের সঙ্গে আপস করেছিলেন। অথচ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চারনেতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি আনুগত্যের স্বাক্ষর রেখে জীবনকে বিসর্জন দিয়েছেন। চারনেতার অন্যতম শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে ও আওয়ামী লীগের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বোনকে এভাবে ছাত্রলীগের মতো একটি সংগঠনের নেতারা অবজ্ঞা করবে তা কাম্য হতে পারে না।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমনের সঙ্গে মোবাইলে যোগযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি বলে মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ স্মরণসভায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ভার্চুয়ালি যোগ দেন বলে জানা গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়