প্রণোদনা ঋণের জন্য ঘুষ লাগে ২৯ শতাংশ ব্যবসায়ীর

আগের সংবাদ

অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে : করোনার প্রকোপ কমার পর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও বিষণ্নতার বড় আঘাত আসছে

পরের সংবাদ

সুপ্রিম কোর্টে কর্মসূচি : আ.লীগ ও বিএনপি আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনা

প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্যাড ব্যবহার করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের পক্ষে বিবৃতি দেয়ায় পাল্টাপাল্টি মিছিল-স্লোগান দিয়েছে আইনজীবী সমিতির আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। এ সময় উভয় পক্ষই পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে।
গতকাল রবিবার দুপুর থেকে আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষের সামনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা নিজ নিজ দলের পক্ষে স্লোগান দিতে শুরু করেন। উভয়পক্ষের আইনজীবীদের টানা মিছিল ও স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ। এর মধ্যেই ১টা ২৫ মিনিটে সমিতির সম্পাদকের কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপিপন্থি সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। আইনজীবী সমিতির প্যাডে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অসামান্য অবদান একটি মীমাংসিত সত্য। তার মতো একজন বীর সেনানী ও সফল রাষ্ট্রনায়কের চরিত্রে কালিমা লেপনের যে অপচেষ্টা অতি স¤প্রতি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে করা হয়েছে, সেটি অত্যন্ত বিভ্রান্তিমূলক এবং ইতিহাসের মীমাংসিত সত্যের বিকৃতি। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্যাডে বিবৃতি দেয়া প্রসঙ্গে কাজল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রে জনগুরুত্বপূর্ণ যে কোনো বিষয়ে আলোচনা করার ও মতামত দেয়ার স্বাধীনতা রয়েছে।
এরপর আইনজীবী সমিতির আওয়ামী লীগপন্থি সহসভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ শফিক উল্লাহের নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, রুহুল কুদ্দুস কাজলের ব্যক্তিগত বক্তব্যকে সমিতির প্যাডে প্রচার করে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা মাত্র। এই বিবৃতি একান্তই তার ব্যক্তিগত বক্তব্য- যা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নয়। দলমতনির্বিশেষে নিরপেক্ষতার প্রশ্নে সব সময় তারা ছিলেন বদ্ধপরিকর ও আপসহীন। অথচ সুপ্রিম কোর্ট বারের প্যাড ব্যবহার করে নিজ রাজনৈতিক দলের মত প্রকাশ করার মতো সস্তা রাজনীতি করে সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের দীর্ঘদিনের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধ্বংস করার চক্রান্ত শুরু হলো।
পরে এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত অনেক সদস্য রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রাজনৈতিক ব্যক্তিরা এখানে সভাপতি-সম্পাদক হয়ে থাকেন। ইতোপূর্বে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ব্যবহার করে কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয়া হয়নি। সম্পাদক তার নিজের বক্তব্য দেন। সভাপতি তার নিজের বক্তব্য রাখেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের প্যাড ব্যবহার করে বিবৃতি এটা মনে হয় প্রথমবারের মতো হয়েছে। এতে সুপ্রিম কোর্ট বারে একসঙ্গে কাজ করার যে ঐতিহ্য সেটা ক্ষুণ্ন হয়েছে। আজকে শুনলাম পাল্টাপাল্টি স্লোগান হয়েছে। এর মাধ্যমে পরিবেশটা কিন্তু বিনষ্ট হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্যাডে ‘জিয়াউর রহমান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ’ শীর্ষক শিরোনামে বিবৃতি দেন বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়