প্রণোদনা ঋণের জন্য ঘুষ লাগে ২৯ শতাংশ ব্যবসায়ীর

আগের সংবাদ

অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে : করোনার প্রকোপ কমার পর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও বিষণ্নতার বড় আঘাত আসছে

পরের সংবাদ

ফুলেল শ্রদ্ধায় বুলবুল চৌধুরীকে বিদায়

প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধার ফুলে আর ভালোবাসায় শেষ বিদায় নিলেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরী। গতকাল রবিবার সকালে পুরান ঢাকার প্যারিদাস রোডের সিংটোলা জামে মসজিদে জানাজা শেষে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নেয়া হয় বুলবুল চৌধুরীর মরদেহ। সেখানে বেলা ১১টার দিকে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সর্বস্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বুলবুল চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি, বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি ও জাতীয় কবিতা পরিষদ। এছাড়া শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হুদা, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ, গ্রন্থমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য-সচিব ড. জালাল আহমেদ, প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম, আলমগীর সিকদার লোটন, শাহাদাত হোসেন, শ্যামল পাল, ছড়াকার আমীরুল ইসলাম, কথাসাহিত্যিক ইমতিয়ার শামীম প্রমুখ।
কে এম খালিদ বলেন, করোনার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আমরা শিল্প-সাহিত্য অঙ্গনের প্রায় শতাধিক মানুষকে হারিয়েছি। এতে বিশাল ক্ষতির মুখে পড়েছে আমাদের শিল্প-সাহিত্য অঙ্গন। শনিবার বুলবুল চৌধুরী, শেখ আবদুল হাকিম ও আতাউর রহমানের মতো তিনজন সাহিত্যিক চলে গেছেন। আজ বুলবুল চৌধুরীকে শ্রদ্ধা নিবেদন করলাম, তাকে স্মরণ করব। বুলবুল চৌধুরীর বিকল্প শুধু তিনিই।
মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বুলবুল চৌধুরী আমার বন্ধু। আমরা প্রায় সমবয়সি। তিনি বিনয়ী একজন মানুষ ছিলেন। তিনি যে প্রতিভাবান তা বোঝা যেত না। গল্প লিখে পরিচিত হলেও বুলবুল চৌধুরী জীবনের শুরুতে কবিতা ও ছড়া লিখেছেন। তার গল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের অভিজ্ঞতা পাওয়া যেত। তিনি সমকালীন ধারা থেকে আলাদা হয়ে সাহিত্যচর্চা করেছেন। জীবনের জন্য, জীবনের বৃহৎ পেক্ষাপটে তিনি গল্প লিখেছেন। বাংলা একাডেমি বুলবুল চৌধুরীর রচনাবলি প্রকাশের চেষ্টা করবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, বুলবুল চৌধুরী কখনো শালীনতার বাইরে লেখেননি। পরিশীলিতভাবে সাহিত্যচর্চা করেছেন। আমৃত্যু তিনি সাহিত্যের জন্য কাজ করেছেন।
বুলবুল চৌধুরীর ছেলে রাফী চৌধুরী বলেন, আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে শুধু চাই সবাই আমার বাবার বই পড়ুক। তার শেষ ইচ্ছে ছিল তাকে যেন মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার সেই ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। আমার বাবা গোছানো মানুষ ছিলেন না। তার রচনাগুলো বিক্ষিপ্ত আকারে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। তার বন্ধুরা আমাকে কথা দিয়েছেন, রচনাগুলো এক করতে সাহায্য করবেন। বাংলা একাডেমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বুলবুল চৌধুরীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। সেখানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরী। ছয় মাস আগে তার ক্যান্সার শনাক্ত হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়