প্রণোদনা ঋণের জন্য ঘুষ লাগে ২৯ শতাংশ ব্যবসায়ীর

আগের সংবাদ

অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে : করোনার প্রকোপ কমার পর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও বিষণ্নতার বড় আঘাত আসছে

পরের সংবাদ

পদ্মায় ধরা পড়ল ১০ মণ ওজনের শাপলা মাছ

প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

লিটন চক্রবর্তী ও আলিমুজ্জামান মিলন, রাজবাড়ী থেকে : গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে জেলের জালে ১০ মণ অর্থাৎ ৪০০ কেজি ওজনের একটি বিশালাকৃতির শাপলা মাছ ধরা পড়েছে। গতকাল রবিবার ভোরে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৭নং ফেরিঘাটের অদূরে পদ্মা-যমুনা নদীর মোহনায় দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার জেলে বাবু সরদারের জালে বিশালাকৃতির এই মাছটি ধরা

পড়ে।
পরে মাছটি বিক্রির উদ্দেশ্যে দৌলতদিয়া বাইপাস সড়ক সংলগ্ন দুলাল মণ্ডলের একতা মৎস্য আড়তে আনলে সেখানে উন্মুক্ত নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৪০০ কেজি ওজনের মাছটি কেজিপ্রতি ২০০ টাকা দরে মোট ৮০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন রাজবাড়ীর মাছ ব্যবসায়ী কুটি মণ্ডল। এ সময় মাছটি দেখতে উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় জমান।
জানা গেছে, বিরল প্রজাতির এই সামুদ্রিক মাছটিকে স্থানীয়ভাবে হাঙ্গস মাছ বলা হলেও এর নাম রেফিন ফিশ বা স্টিং ফিশ। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় জেলে বাবু সরদার বলেন, আমরা সাধারণত ট্রলারে পদ্মায় বড় মাছ ধরতে যাই। হঠাৎ করে বিরল প্রজাতির এই মাছটি ধরা পড়লে খুশি হই। তবে জালে আটকানোর পর মাছটি বেশি লাফালাফি করেনি। দ্রুত সময়ের মধ্যে মাছটি ডাঙ্গায় তুলি।
আড়তদার রেজাউল ইসলাম (রাজ) বলেন, পদ্মা নদীতে প্রায় ১৫ বছর আগে একবার শাপলা পাতা মাছ পাওয়া গিয়েছিল। এটি সাধারণত মাটি ছুঁইছুঁই করে পথ চলে। যে কারণে সহজে জালে ধরা পড়ে না। হয়তো পদ্মার তীব্র স্রোতের কারণে মাটি থেকে উপরের দিকে এসেছে যে কারণে জেলের জালে মাছটি ধরা পড়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকতা মো. রোকনুজ্জামান বলেন, এটি শাপলা পাতা মাছ নামেই পরিচিত। এটি সাধারণত কক্সবাজার এলাকায় পাওয়া যায়। তবে মাছগুলো কম পাওয়া যায়। ইতোপূর্বে মাছ সম্পর্কে যে তথ্য পেয়েছি সেটি এত বড় আকৃতির নয়। মাছগুলো খেতে খুব সুস্বাদু। আমি নিজে মাছের কাছে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়