প্রণোদনা ঋণের জন্য ঘুষ লাগে ২৯ শতাংশ ব্যবসায়ীর

আগের সংবাদ

অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে : করোনার প্রকোপ কমার পর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও বিষণ্নতার বড় আঘাত আসছে

পরের সংবাদ

গ্রাম হবে শহর এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কাজ করছি : শাহনেওয়াজ শাহানশাহ মেয়র, দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভা

প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিল্লাল হোসেন মণ্ডল, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) থেকে : ঐতিহাসিক ঘটনাবলি থেকে জানা গেছে, ব্রিটিশদের আগমনের আগে দেওয়ানশাহ জামাল ও দেওয়ানশাহ্ জালাল নামে দুজন সাধক এ অঞ্চলে এসে ধর্ম প্রচার করেন। তাদের নামেই এ অঞ্চলের নামকরণ হয়েছে দেওয়ানগঞ্জ। ১৯৯৯ সালে ৪৮টি মহল্লা ও ৯টি মৌজা নিয়ে দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভা গঠিত হয়। এর আয়তন ২০ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। মোট ভোটার ৩০ হাজার ১৩২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৪ হাজার ৬৮৫ আর নারী ভোটার ১৫ হাজার ৪৪৭ জন। এ পৌরসভার আওতায় রয়েছে জিলবাংলা সুগারমিল, দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন, এতিমখানা ১টি, মসজিদ ৫৮টি, মন্দির ৯টি, হাটবাজার ২টি, ব্যাংক শাখা ৬টি, পোস্ট অফিস ২টি, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ১টি, কামিল মাদ্রাসা ১টি, ডিগ্রি কলেজ ১টি, মহিলা কলেজ ১টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯টি, কিন্ডার গার্টেন ৫টি, কওমি মাদ্রাসা ২টি, সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ১টি, বেসরকারি উচ্চবিদ্যালয় ৩টি, বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ১টি ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা ৬টি।
১৯৯৯ সালে পৌরসভাটির প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন আব্দুর রশিদ। ২০০২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে ২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন আ. ছালাম খন্দকার। ২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত হন আবুল কালাম আজাদ। তিনি ২০১৪ সালের ৪ মে মেয়র পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে ৪ মে থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন কাউন্সিলর আক্কাছ আলী। ২০১৪ সালের উপনির্বাচনে শেখ মোহাম্মদ নুরুন্নবী (অপু) নির্বাচিত হয়ে ৯ মার্চ ২০১৬ সাল পর্যন্ত মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৬ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন আওয়ামী

লীগ প্রার্থী বর্তমান মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহ। তিনি মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করাসহ নিজেকে পৌরবাসীর সেবক ও দারিদ্র্যবান্ধব হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। গত পাঁচ বছরে পৌর এলাকার রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, পৌরশহর সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ভাসমান সেতু নির্মাণ হয়েছে। গ্রাম্য আদালতে সঠিক ন্যায় বিচার করায় ন্যায় বিচারক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি।
ভোরের কাগজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহ বলেন, গ্রাম হবে শহর- এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কাজ করছি। পৌরসভার সর্বত্র এখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে। পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর বিগত ২১ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি, তা গত পাঁচ বছরে তা সম্ভব হয়েছে। উন্নয়ন কাজের ফলে পৌরসভার চিত্র বদলে গেছে। সর্বত্র উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। জনগণ আমাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল। আমি সে ভালোবাসার মূল্য দিতে চেষ্টা করেছি। তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভাকে একটি ডিজিটাল পৌরসভা হিসেবে উপহার দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
মেয়র বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমটা কাটে আতঙ্কে। এ জনপদের একদিকে ব্রহ্মপুত্র, অন্যদিকে যমুনা নদী। অসহায় মানুষদের দেখার যেন কেউ নেই। এই কষ্ট-যন্ত্রণা থেকে স্বস্তি চায় দেওয়ানগঞ্জবাসী, চায় স্থায়ী সমাধান। প্রতি বছর বসতবাড়ি ছেড়ে তিন-চার মাস মানবেতর জীবন যাপন করতে হয় তাদের। কেউ আশ্রয় নেয় খোলা আকাশের নিচে আবার কেউ আশ্রয় নেয় গাছতলা বা রাস্তায়। এ সময় শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাইকে পানিবাহিত রোগসহ ক্ষুধার যন্ত্রণার সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হয়। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বানভাসি ১০ হাজার পরিবারের প্রাণের দাবি জরুরি ভিত্তিতে বন্যাকবলিত মানুষের স্বপ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়