প্রণোদনা ঋণের জন্য ঘুষ লাগে ২৯ শতাংশ ব্যবসায়ীর

আগের সংবাদ

অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে : করোনার প্রকোপ কমার পর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও বিষণ্নতার বড় আঘাত আসছে

পরের সংবাদ

খরচ বাড়লে ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়ার শঙ্কা : চারঘাটে হঠাৎ সারের দাম বাড়ায় ব্যাহত চাষাবাদ

প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাইনুল হক সান্টু, চারঘাট (রাজশাহী) থেকে : চারঘাটে হঠাৎ সারের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন উপজেলার কৃষকরা। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে সারের দোকান থেকে কিনতে হচ্ছে সার। সারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ব্যাহত হচ্ছে কৃষকদের রবি মৌসুমের চাষাবাদ। উৎপাদনের খরচ বৃদ্ধি পেলে ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন উপজেলার একাধিক কৃষক।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলায় বিসিআইসি অনুমোদিত ৭টি ডিলার ও বিএডিসি অনুমোদিত ১২টি ডিলারের প্রায় প্রত্যেকটি দোকানে ডিএপি (বাংলাদেশ) ও টিএসপি (বাংলাদেশ) সার সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি করছে। ডিলার ভেদে প্রতি কেজি সার ৮-১০ বেশি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকার নির্ধারিত মূল্যে ডিএপি (বাংলাদেশ) সার কেজিপ্রতি ২০ টাকা ও টিএসপি কেজিপ্রতি ২২ টাকা দরে ডিলাররা কৃষকদের মাঝে বিক্রি করতে পারবে। কিন্তু ডিলাররা ডিএপি (বাংলাদেশ) সার প্রতি কেজি ৩০-৩২ টাকা এবং টিএসপি (বাংলাদেশ) প্রায় ২৮-৩০ টাকা দরে বিক্রি করছে। হঠাৎ দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জমিতে প্রয়োজনীয় সারের চাহিদা মিটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান উপজেলার চারঘাট ইউনিয়নের অনুপমপুর গ্রামের কৃষক আবু তালেব। উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নে বিসিআইসি অনুমোদিত ডিলার মেসার্স ঘোষ এন্ড ব্রাদাসের স্বত্বাধিকারী অসিৎ কুমার ঘোষ জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে ডিএপি (বাংলাদেশ) ও টিএসপি (বাংলাদেশ) সার কেজিপ্রতি দাম কিছুটা বেড়েছে। সরকার থেকে টিএসপি সার ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে এই সারের সরবরাহ কম বলে তিনি জানান। সরদহ ইউনিয়নের মেসাস মোস্তাক এন্ড ব্রাদাসের স্বত্বাধিকারী ও উপজেলা সার ও বীজ কমিটির সদস্য মোস্তাক হোসেন বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে একেকজন ডিলারকে প্রায় ১-২ টন টিএসপি সার সরবরাহ করার ফলে প্রান্তিক কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া কিছু কিছু ডিলার বাইরে থেকে সার কিনে বেশি দামে বিক্রি করছেন বলে তিনি জানান। তবে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছি। এ প্রসঙ্গে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদ বলেন, সারের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি, তবে সরকার নির্ধারিত মূল্যে চেয়ে বেশি দরে সার বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করার জন্য কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করবেন বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়