প্রণোদনা ঋণের জন্য ঘুষ লাগে ২৯ শতাংশ ব্যবসায়ীর

আগের সংবাদ

অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে : করোনার প্রকোপ কমার পর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও বিষণ্নতার বড় আঘাত আসছে

পরের সংবাদ

অভয়নগরে পানি নিষ্কাশনে অব্যবস্থাপনা : জলাবদ্ধতায় দেড় শতাধিক পরিবারের দুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এস এম রফিকুল আলম, নওয়াপাড়া (যশোর) থেকে : অভয়নগরে ভৈরব সেতুসংলগ্ন নির্মিত পানি নিষ্কাশনে অব্যবস্থাপনা এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ড্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এলাকার দেড় শতাধিক বাড়ি জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ভৈরব ব্রিজের ল্যাম্পপোস্টগুলো অকেজো হয়ে রয়েছে। এলাকাবাসী জানান, সেতু নির্মাণের সময় ড্রেনে কনস্ট্রাকশনের ময়লা পড়ে ভরাট হয়ে যায়। ওই সময় ড্রেনটি পরিষ্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকায় দেখা যায় জলাবদ্ধতা। আর ব্রিজের ল্যাম্পগুলোর অধিকাংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ব্রিজের উপর সন্ধ্যার পর প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।
জানা গেছে, গত বছর ২২ নভেম্বর অভয়নগরের মানুষের কাক্সিক্ষত ভৈরব সেতু উদ্বোধন করা হয়। সেতুর নিচে ওয়াকওয়ের পাশ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য তৈরি করা হয় ড্রেন। যার দৈর্ঘ্য ৩৫০ মিটার, গভীরতা ৫ ফিট আর প্রস্থ দুই ফিট। ড্রেনটি এখন এলাকাবাসীর অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শনিবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহৃত ড্রেনটির ভেতর কনস্ট্রাকশনের বালু, সিমেন্ট, ইট পড়ে ভরে রয়েছে। ভৈরব নদে মেশার আগেই ড্রেনের কাজ শেষ করা হয়েছে। প্রায় ২০০ মিটার এলাকায় ড্রেন করা হয় নাই। ব্রিজসংলগ্ন উপজেলার মশরহাটি গ্রামের মো. এশারত আলী বিশ্বাস (৫০) জানান, ভৈরব ব্রিজের সঙ্গে পানি নিষ্কাশনের জন্য যে ড্রেন করা হয়েছে তা ময়লা পড়ে বন্ধ হওয়ার কারণে পানি সরছে না। কারণ, সেতু করার সময় ড্রেনে অনেক ময়লা ড্রেনটিতে পড়েছিল। তাই সামান্য বৃষ্টিতেই দেড় শতাধিক বাড়িঘরে পানি উঠে যাচ্ছে। এতে করে ডেঙ্গু মশার উৎপত্তি বাড়ছে পাশাপাশি দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। যাতে করে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এলাকার আজহার লস্কর (৫৫) জানান, দুর্ভোগের বিষয়টি ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে জানালে তিনি বলেন ড্রেন পরিষ্কার করা আমার দায়িত্ব না, আমি পারলে মশার ওষুধ দিয়ে যাব। তিনি আরো জানান, ব্রিজ উদ্বোধনের কিছু দিনের মধ্যে ব্রিজের ৬০ ল্যাম্পপোস্টের মধ্যে অধিকাংশই অকেজো হয়ে পড়ে। যার কারণে রাতে প্রায়ই ব্রিজের উপর ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এলাকার পৌর কাউন্সিলর আ. গফ্ফার বিশ্বাস বলেন, ল্যাম্পপোস্ট ও ড্রেনটি আমার এলাকায় হলেও সেগুলো মেরামতের দায়িত্ব এলজিইডির। আমি দ্রুত এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অফিসে অভিযোগ দেব।
এ বিষয়ে ব্রিজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাই জানান, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা করবেন বলেছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) শ্যামল কুমার বসু বলেন, ড্রেন পরিষ্কার করার দায়িত্ব ব্যবহারকারীদের। ওখানে ব্যবসায়ীরা ট্রাকের বালু ও মাটি ফেলে ড্রেন ভরাট করে ফেলছে। আমাদের জনবল নাই। ল্যাম্পগুলো দেখার দায়িত্ব আমাদের হলেও টাকার অভাবে এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল শোধ করতে পারিনি। কোনো বরাদ্দও নেই। ফলে ওগুলো সংস্কার করতে পারিনি। বরাদ্দ পেলে ঠিক করে দেব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়