চট্টগ্রাম অফিস : শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস ইতিহাস-ঐতিহ্যের হীরক খণ্ড। এই ভবনের রীতির স্থাপত্য নন্দিত শৈল্পিকতায় ইতিহাস কথা কয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এখানে হানাদার বাহিনীর টর্চার সেলে শহীদ হয়েছেন অনেক কৃতী বাঙালি। হানাদার মুক্ত চট্টগ্রামে এই সার্কিট হাউসে বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর রফিকুল ইসলাম সহযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছেন। অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী এই সার্কিট হাউসে একজন জিয়াউর রহমান নিহত হয়েছেন বলে তার নামে জাদুঘর করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
শনিবার সকালে নগরীর ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ডে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষের বাসভবনে তার সহায়তায় অসহায় পরিবারের মাঝে উপহারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। উপমন্ত্রী চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীকে উদ্দেশ করে বলেন, সার্কিট হাউসের সামনে খোলা প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সূচনা হয়েছিল।
বিএনপি সরকার এখানে উদ্দেশ্যমূলকভাবে শিশুপার্ক তৈরি করে সার্কিট হাউসের নান্দনিক রূপ হানি করেছে। তাই এই পার্ক সরিয়ে ফেলতে আমি সংসদ সদস্য হিসেবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। আপনিও এ ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী সার্কিট হাউসের নান্দনিক সৌন্দর্য রক্ষায় শিশুপার্কটি সরিয়ে ফেলা উচিত এবং বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে মন্তব্য করে বলেন, ’৭৫-পরবর্তী সময়ে ইতিহাস বিকৃতির যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে সার্কিট হাউসের সামনে পার্ক নির্মাণ তারই একটি অংশ।
তিনি আরো বলেন, ১৫ আগস্ট ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেও হত্যার শামিল। ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি স্বপন কুমার মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হোসেন বাচ্চুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও চউক চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ, ২২ মহল্লা কমিটির সভাপতি ইউসুফ সর্দার, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী।