ম্যান ইউতে ফিরলেন রোনালদো

আগের সংবাদ

চেনা উইকেটে অচেনা নিউজিল্যান্ড

পরের সংবাদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী : অনেক দেশের চেয়ে আমাদের মৎস্য উৎপাদন বেড়েছে

প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মৎস্য খাত বাংলাদেশে একটি স্বর্ণালি অধ্যায় সৃষ্টি করছে- এমন দাবি করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশের মৎস্য উৎপাদন বেড়েছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানান তিনি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি ও মো. তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের উপপরিচালক শেফাউল করিম, নৌপুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো. আতিকুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শ ম রেজাউল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হচ্ছে ভাতে-মাছে বাঙালির চিরন্তন বৈশিষ্ট্য ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের মৎস্য খাতকে তিনি যেভাবে বিকশিত করছেন এ ধারা অব্যাহত রেখে মৎস্যসম্পদে বিশ্বে আমরা অনন্য-আসাধারণ জায়গায় পৌঁছে যাব। এ লক্ষ্য নিয়ে মৎস্য খাতকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে এবারের মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন হতে যাচ্ছে। ভাতে-মাছে বাঙালির নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের জায়গায় আমরা শুধু পরিপূর্ণতাই আনব না, বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশা অনুযায়ী মাছ হবে দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ। সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।
মন্ত্রী বলেন, ‘বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি’ এ প্রতিপাদ্যে ২৮ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন করা হবে। তবে আগামীকাল (আজ) জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জাতীয় সংসদ লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন। আর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ৩১ আগস্ট বঙ্গভবন পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন।
তিনি আরো বলেন, করোনার কারণে বিদেশ থেকে আমাদের অনেক প্রবাসী বেকার হয়ে দেশে ফিরছেন। স্বল্প আয়ের চাকরি বা ব্যবসা যারা করতেন তারা বেকার হয়ে পড়েছেন। করোনায় সৃষ্ট বেকারদের পুনর্বাসনে আমাদের মৎস্য খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মাছ চাষের মাধ্যমে বেকারত্ব লাঘব হচ্ছে, আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়ছে, উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে। আবার মাছ রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আমরা দেশে আনতে সক্ষম হচ্ছি। পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে আমাদের মৎস্য উৎপাদন বেড়েছে। এ খাতে আমূল পরিবর্তন এসেছে। এর অন্যতম কারণ প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও পৃষ্ঠপোষকতা। ইলিশের আকার বেড়েছে। স্বাদ-গন্ধ ফিরেছে। পরিমাণ বেড়েছে। দুর্লভ মাছগুলো ফিরে এসেছে। বিলুপ্তপ্রায় ৩১ প্রজাতির দেশীয় মাছকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে আমরা ফিরিয়ে এনেছি। সেটা সারাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়