কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল দুই নারীর

আগের সংবাদ

শাড়িতেই এবার পকেট

পরের সংবাদ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পথে হাঁটছে তালেবানরা

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আফগানিস্তানে পশ্চিমা সমর্থিত প্রশাসনকে উৎখাত করার পর একটি ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে তালেবানরা। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির একটি সূত্র এমনটাই জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরাকে। সূত্রটি আরো জানায়, সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে দেশের সব জাতি ও উপজাতির প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে চায় তারা। এজন্য এক ডজন নাম বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ সেই সরকার গঠিত হবে তা, এখনো নিশ্চিত করে জানা যায়নি।
আফগানিস্তানে সহিংসতার মূলে রয়েছে বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীর দ্ব›দ্ব। দেশটির বর্তমান মোট জনসংখ্যা প্রায় চার কোটি। তবে, সেখানে কোনো একক গোষ্ঠীর পক্ষে ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। পশতুনরা আফগানিস্তানের বৃহত্তম জাতিগত গোষ্ঠী, যা জনসংখ্যার ৪২ শতাংশেরও বেশি। প্রধানত সুন্নি মুসলিম সম্প্রদায় পশতু ভাষায় কথা বলে। তারা ১৮ শতকের পর থেকে দেশটির রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আছে। এদিকে তালেবানরা বলেছে, একজন ‘আমির-উল-মুমিনিন’ এর নেতৃত্বে ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার পরিচালিত হবে। প্রথমে একটি ‘সর্বোচ্চ নেতৃত্ব পরিষদ’ গঠন করা হবে। তারাই আগামীর সরকারের গঠন এবং মন্ত্রীদের মনোনীত করার বিষয়টি দেখভাল করবেন।
সরকার গঠনের জন্য তালেবানের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা বারাদার বর্তমানে রাজধানী কাবুলে আছেন। আর তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব এ বিষয়ে প্রাথমিক পরামর্শের প্রয়োজনে কান্দাহার থেকে কাবুলে আসা-যাওয়া করেছেন। নতুন সরকারে তাজিক এবং উজবেক উপজাতীয় নেতাদের ছেলেদেরও অন্তর্ভুক্ত করতে চায় তালেবানরা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও হাই কাউন্সিল অব ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশনের সাবেক প্রধান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহসহ পুরনো সরকারের কিছু সদস্যকে তালেবানের এই নতুন সরকারে রাখার জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়