কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল দুই নারীর

আগের সংবাদ

শাড়িতেই এবার পকেট

পরের সংবাদ

ইভ্যালিতে বিনিয়োগ নিয়ে যমুনা গ্রুপের নতুন ঘোষণা

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল যমুনা গ্রুপ। কিন্তু এক মাসেও বিনিয়োগ করবে কিনা তা নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। যমুনা গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইভ্যালির অডিটের চূড়ান্ত রিপোর্ট পেলে বিনিয়োগ করবে কিনা তা জানাবে যমুনা গ্রুপ। গতকাল শুক্রবার এক জরুরি ঘোষণায় এ কথা জানান যমুনা গ্রুপের পরিচালক (মার্কেটিং, সেলস এন্ড অপারেশন্স) ড. মোহাম্মদ আলমগীর আলম।
যমুনা গ্রুপের জরুরি ঘোষণায় বলা হয়েছে, ইভ্যালিতে যমুনা গ্রুপের বিনিয়োগের আগে ইভ্যালির গ্রাহকদের ও পণ্য সরবরাহকারীদের পাওনা বা দায়-দেনা নির্ধারণের লক্ষ্যে যমুনা গ্রুপের উদ্যোগে অডিট চলছে। যেহেতু এখনো অডিট কার্যক্রম শেষ হয়নি ও অডিটের চূড়ান্ত রিপোর্ট যমুনা গ্রুপের হাতে আসেনি তাই ইভ্যালিতে বিনিয়োগের বিষয়ে যমুনা গ্রুপ এখনো চূড়ান্ত কোনো অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট দিতে প্রস্তুত নয়। অডিট শেষ হলে যথাসময়ে যমুনা গ্রুপ তার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত ও বিস্তারিত কর্মপদ্ধতি মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করবে। এর আগে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে যমুনা গ্রুপের পরিচালক মনিকা ইসলামকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়, ইভ্যালিতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে যমুনা গ্রুপ। এই বিষয়ে যমুনা গ্রুপের পরিচালক মনিকা ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের সিদ্ধান্ত আগের মতোই আছে। একটা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার আগে তা যাচাই-বাছাই করতে হয়। এজন্য অডিট করা হচ্ছে, চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব, তখন আপনাদের জানাব।
এর আগে গত ২৭ জুলাই যমুনা গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইভ্যালির সঙ্গে যমুনা গ্রুপের একটি পার্টনারশিপ চুক্তি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে খুব শিগগিরই ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। এরপর ধাপে ধাপে মোট ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। এ বিষয়ে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মো. রাসেল বলেছিলেন, একটি দেশীয় উদ্যোগ হিসেবে আমাদের পাশে আরেকটি দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে পেয়ে আমরা সত্যিই আনন্দিত। যমুনার এই বিনিয়োগ ধারাবাহিক বিনিয়োগের অংশ এবং পরবর্তী ধাপেও তাদের বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এই বিনিয়োগ ইভ্যালির ভবিষ্যৎ উন্নয়ন এবং ব্যবসার পরিধি বাড়াতে ব্যয় করা হবে।
সবশেষ গত বুধবার ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও এমডির নামে পরিচালিত সব ধরনের অ্যাকাউন্টের তথ্য ও ৫০ লাখ টাকা বা তার বেশি লেনদেনের চেক বা রশিদের কপি চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সংস্থাটি ব্যাংকগুলোকে এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়ে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেলের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জে মামলা করা হয়েছে। গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার বাসিন্দা মো. রাজ বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আরার আদালতে এ মামলা করেন।
জানা গেছে, ই-কমার্স প্লাটফর্ম ইভ্যালি ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে। লোভনীয় ডিসকাউন্ট কিংবা ক্যাশব্যাকের অফার প্রসঙ্গে ইভ্যালির নাম সর্বাগ্রে। স্বল্প সময়ে অনলাইন ক্রেতার মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করলেও প্রতিষ্ঠানটি এখন গ্রাহক ভোগান্তি ও সমালোচনার শীর্ষে অবস্থান করছে। এছাড়া গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত ইভ্যালির নেয়া অগ্রিম ৩৩৯ কোটি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এ টাকা আত্মসাৎ বা অবৈধভাবে অন্যত্র সরিয়ে ফেলার আশঙ্কা রয়েছে। এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে সম্পদ ও দায়ের হিসাব দিয়েছে ইভ্যালি। এতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তার নিজের ব্র্যান্ড মূল্য ৪২৩ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ইভ্যালির মোট দেনার পরিমাণ ৫৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮২ টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়