কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল দুই নারীর

আগের সংবাদ

শাড়িতেই এবার পকেট

পরের সংবাদ

অভিশংসনের দাবি : ঘরে-বাইরে নিন্দা ও সমালোচনার মুখে বাইডেন

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আফগানিস্তানে ফের তালেবানের আধিপত্য আর তারপর থেকেই দেশটিতে চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। এ নিয়ে ঘরে-বাইরে তুমুল সমালোচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার নিজের দেশের একটা বড় অংশই মনে করছে, তড়িঘড়ি আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার না করলে এ পরিস্থিতি তৈরি হতো না। সর্বশেষ কাবুলের বিমানবন্দরে বোমা হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পদত্যাগের দাবি উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এদিকে বাইডেনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা ও নিন্দামুখর হয়েছেন ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

জাতিসংঘের সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালি গত বৃহস্পতিবার টুইটে বলেন, বাইডেন কি এবার পদত্যাগ করবেন, নাকি তাকে সরানো হবে তবে বাইডেন সরে গেলে যদি কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে তা ১০ গুণ খারাপ হবে। ঈশ্বর আমাদের রক্ষা করুন। নিক্কির এ টুইটের পর রিপাবলিকান পার্টির কংগ্রেস সদস্য ও সিনেটররা টুইট করে বাইডেনের পদত্যাগ অথবা ইমপিচমেন্ট দাবি করতে থাকেন। রিপাবলিকান সাংসদরা বলতে থাকেন, যদি একটা ফোনের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচের উদ্যোগ নেয়া হয়, তাহলে এত বড় ঘটনায় কেন বাইডেনের ক্ষেত্রে কেন নয়। তারা মনে করেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া বাইডেনের চরম গাফিলতির প্রকাশ। এর আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বাইডেনের পদত্যাগ চান।
এদিকে সামাজিক নেটওয়ার্কে মার্কিন জনগণ বলছে, আফগানিস্তানে এ ধরনের অর্থহীন যুদ্ধে তাদের করের টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এজন্য বাইডেনসহ পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্টদের অভিযুক্ত করছেন তারা। আফগানিস্তানে পরাজয় যুক্তরাষ্ট্রকে হাস্যাষ্পদ করে তুলেছে বিশ্বের সামনে। এবার বন্ধু দেশ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টও তার দিকেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে আঙুল তুললেন। বললেন, আমেরিকা দ্রুত সেনা প্রত্যাহারের কারণেই অন্য দেশগুলোও সমস্যায় পড়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাক্রোঁ আয়ারল্যান্ডে এক দিনের সফরে রয়েছেন। সেখানে গিয়েই আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিনের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি। বলেন, ৩১ আগস্টের মধ্যে আমেরিকার সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ‘আমাদের এমন পরিস্থিতিতে ফেলেছে, যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’
তাহলে কি আমেরিকা এবং তার মিত্র শক্তি নিজেদের কর্তব্য পালন করেনি ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছে এত কড়া ভাষা অবশ্য ব্যবহার করতে চাননি ম্যাক্রোঁ। তিনি শুধু জানান, যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের কারণে বাকি দেশগুলো উদ্ধারের সময় বিপাকে পড়তে হবে। পরিস্থিতি এখন আর নিরাপদ নয়। তার কথায়, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যতক্ষণ না বেশি মানুষকে উদ্ধার করা যাচ্ছে, ততক্ষণ আমাদের কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। আমাদের নাগরিকদের সুরক্ষা, নিরাপত্তার বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৬০০ মানুষকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়েছে ফ্রান্স। তাদের মধ্যে দুই হাজারই আফগান নাগরিক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়