জাসদের পাল্টা প্রশ্ন : ১৫ আগস্ট সেলিম মার্কিন দূতাবাসে কী করছিলেন

আগের সংবাদ

কারা এই আইএস-কে? আফগানিস্তানে সক্রিয় নৃশংসতম জঙ্গিগোষ্ঠীর কাবুলে হামলার দায় স্বীকার

পরের সংবাদ

ড. এ কে আবদুল মোমেন : আফগানিস্তানে থাকা ১৬০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর অবস্থা জানা যাচ্ছে না

প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আফগানিস্তানে অবস্থানরত ১৬০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর প্রকৃত অবস্থা এখনো জানা যাচ্ছে না। তাদের বিষয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সাউথ সুদান, সাউথ আফ্রিকা দুই দেশ সফর শেষে এর খুঁটিনাটি জানাতে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি নাগরিক যারা এখনো আফগানিস্তানে রয়েছেন তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। তবে কিভাবে আনা হবে সেই কৌশল বলতে অপরাগতা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানে আমাদের মিশন নেই। এজন্য উজবেকিস্তানের সহায়তা নেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশি শান্তি রক্ষাবাহিনীর সদস্যদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে তারা দেশের সুনাম বয়ে আনছেন। একটা মিশন করার দাবি সাউথ সুদানে। এছাড়া পতিত জমি লিজ নিয়ে কৃষিকাজ করতে দিতে রাজি, সে দেশের সরকার। এরফলে ভালো একটি সম্পর্ক বিকশিত করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
সাউথ আফ্রিকার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক সুরক্ষায় বিশ্বাস করে দেশটি। দেশটি বাংলাদেশে মিশন খোলার প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল অফিস খোলার বিষয়ে রাজি হয়েছে। তৈরি পোশাক শিল্পের বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে দেশটি। শিল্প স্থাপন ও কর্মসংস্থান করলে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে সাউথ আফ্রিকা। সবমিলিয়ে আফ্রিকাকে আরো বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।
করোনার টিকা প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, ইউএস থেকে ফাইজার বায়োএনটেকের আরো ১০ লাখ টিকা আসছে। সবমিলিয়ে টিকার যে সরবরাহ শুরু হয়েছে তাতে আমাদের আপাতত সংকট নেই বলা যায়। তবে উন্নত দেশ টিকা নিয়ে বসে আছে। নষ্ট করে ফেলে দিচ্ছে।
বিষয়টি টেনে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, সেখানে কি মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে না? বৈশ্বিক পণ্য গণ্য করছে না। জাতিসংঘের একটি বিষয় টেনে মন্ত্রী বলেন, ইউএনএ সাইডলাইন বৈঠকের কোনো অনুমতির প্রয়োজন হয় না। শুধু লজিস্টিকস সাপোর্ট দেয়। বৈঠকগুলো বাইরেও করা যায়।
প্রসঙ্গত, এই সাইডলাইন বৈঠক নিয়ে একটি বিতর্ক দেখা দিয়েছিল এবং একটি পত্রিকার এ বিষয়ে রিপোর্টও ছাপা হয়েছিল। রিপোর্ট ছাপার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিবাদও দিয়েছে। গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। মন্ত্রী ভারত সফর নিয়েও কথা বলেন। ২০ আগস্টের মধ্যেই মন্ত্রীর ভারত যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা এখনো প্রস্তুত না থাকায় সফরটি হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়