জাসদের পাল্টা প্রশ্ন : ১৫ আগস্ট সেলিম মার্কিন দূতাবাসে কী করছিলেন

আগের সংবাদ

কারা এই আইএস-কে? আফগানিস্তানে সক্রিয় নৃশংসতম জঙ্গিগোষ্ঠীর কাবুলে হামলার দায় স্বীকার

পরের সংবাদ

এক সপ্তাহের ব্যবধান : হোসেনপুরে পাটের দাম কমেছে মণে ৪০০ টাকা

প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে পাটের দাম মণপ্রতি ৪০০ টাকা কমেছে। যে জন্য বাজার দরে সরকারের নজরদারি আশা কৃষকের। গতকাল এ সংবাদই জানান একজন পাট ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে বট (কেনাফ) পাটের বাজার দর ছিল ৩ হাজার ৬০০ টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার কিনেছি ৩ হাজার ২০০ টাকায়। এ রকমভাবে বগী (তোষা) ৩ হাজার ৩০০ টাকার স্থলে ২ হাজার ৯০০ টাকায়। সুতী (দেশী) ৩ হাজার ১০০ টাকার পাট ২ হাজার ৯০০ টাকায় কিনেছেন হোসেনপুর বাজারের বিশিষ্ট পাট ব্যবসায়ী রমিজ উদ্দিন সুমন। এ বছর পাটের বাম্পার ফলনে কৃষক খুশিই ছিল। কিন্তু মাড়াই মৌসুমে পাটের বাজার দর পতনে তাদের মাথায় হাত উঠেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকায় ২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। যার মধ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের সহায়তায় ২৬৬ হেক্টর জমির জন্য কৃষকদের বিনামূল্যে পাট বীজ ও সার সহায়তা দেন।
এছাড়া, স্থানীয় কৃষি অফিসের সহায়তায় ১ হাজার ৯৩৪ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়। উন্নত বীজ ও অনুকূল আবহাওয়ার কারণে পাটের ফলন ভালো হলেও হঠাৎ করে পাটের বাজার কমে যাওয়া লোকসানের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি বাজারে গিয়ে কথা হয় পাটচাষি ও ফরিয়াদের সঙ্গে। তারা জানান, গত সপ্তাহে বৃহস্পতি ও রবিবার প্রতিমণ পাট মান ভেদে গড়ে ৩ হাজার ৩০০ টাকা বাজার দর ছিল। যা গতকাল বৃহস্পতিবার কমে ২ হাজার ৯০০ টাকায় নেমে এসেছে। এ সময় সিদলা ইউনিয়নের চর বিশ্বনাথপুর গ্রামের কৃষক সৃজন মিয়া, কামাল উদ্দিন, শফিক মিয়া, আকরাম মিয়া, সাহেদল ইউনিয়নের সাহেদল গ্রামের সুরুজ মিয়া, পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের বিশ্বনাথ গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দিনসহ অনেকে জানান, গত বছর শেষ দিকে প্রতিমণ পাট মান ভেদে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। তবে, সেই দামে কৃষকরা পাট বিক্রি করতে পারেন নাই। এর মূল্য হাতিয়ে নেন ফরিয়া ও মজুত ব্যবসায়ীরা।
এ সময় তারা আক্ষেপ করে বলেন, মাড়াই মৌসুমে পাটের দাম না ফেলে আমরার লাভ কী? আমরা যারা পাট উৎপাদন করি তাদের মাড়াইয়ের পরই তা বিক্রি করে দিতে হয়। কেননা ঋণ করে কামলা খরচ, সার, বীজ কেনার পর আর ভালো দামের অপেক্ষায় থাকা যায় না। যে জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ মাড়াই মৌসুমে যেন পাটের দর-দাম ভালো থাকে সেদিকে সরকারের খেয়াল রাখা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইমরুল কায়েস জানান, এ বছর ২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে প্রায় ২ হাজার ৪০০ বেল (্এক বেলে ৫ মণ) পাট উৎপাদন হয়েছে। পাটের বর্তমান বাজারও দরও যদি ঠিক থাকে তবু কৃষকদের লাভ। এতে কৃষকদের পাট চাষে আগ্রহ বাড়বে। পাটের বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধি করতে পারলে কৃষকরা এর সুফল পাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়