ওবায়দুল কাদের : ২১ আগস্ট মামলার আপিল শুনানি শুরু শিগগিরই

আগের সংবাদ

মহামারিতে মেগা প্রকল্পে স্থবিরতা

পরের সংবাদ

আদিল মোহাম্মদ খান : বর্ষায় উন্নয়ন কাজের মান দুর্বল হয়

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক নগরবিদ আদিল মোহাম্মদ খান বলেছেন, বর্ষাকালে নগরীর উন্নয়ন কাজ করা ঠিক নয়। সিটি করপোরেশন নিজেই এ ধরনের নীতিমালা করেছে। কারণ বর্ষায় কাজ করলে সেই কাজের মান দুর্বল হয়। সেটা সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরাও জানেন, সাধারণ মানুষও জানেন। কারণ কিছুদিন পর সেগুলো ভেঙে যাবে। পুনর্নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। সেটা যদি মানা না হয়, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, দুর্বল কাজ করতেই কি বর্ষাকালকে বেছে নেয়া হয়? যাতে রাস্তা সহজে ভেঙে যায়। যাতে প্রতি বছর নতুন নতুন কাজ করা যায়। তাছাড়া বর্ষাকালে জনদুর্ভোগ বাড়ে, সেটা তো সবার জানা। তারপরও এই সিদ্ধান্ত কেন? গতকাল মঙ্গলবার ভোরের কাগজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, দিনের পর দিন বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে সিটি করপোরেশন উন্নয়ন কাজ তো করবেই না, বরং অন্য সংস্থাগুলোকে নিবৃত করবে। তা না করে, আমরা দেখছি সিটি করপোরেশন নিজেই নিজেদের নিয়ম না মেনে কাজ করছে। যেটা স্ববিরোধী। জনগণের যেন দুর্ভোগ না হয়, সেজন্য সিটি করপোরেশনকে যা যা করার তাই করতে হবে। এখন কাজগুলো হওয়ায় বিশাল জনভোগান্তি হচ্ছে।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনগুলো জনগণের সেবাদানে কতটুকু আন্তরিক, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে এ ধরনের কর্মকাণ্ড হলেই। তারা যদি আন্তরিকই হতেন, তাহলে বছরের পর বছর ধরে এই রিপিটেশন হতো না। কোথাও না কোথাও তাদের থামতে হতো। দেড় বছর আগেও মেয়রদের পক্ষ থেকে সেবা সংস্থাগুলোকে বলা হয়েছিল কাজের চাহিদা আগেভাগেই দিতে। যাতে বর্ষাকালে কোনো খোঁড়াখুঁড়ি করতে না হয়। সেখানে কিছু সেবা সংস্থা আহ্বানে সাড়া দেয়নি। এ রকম একটা অভিযোগ আছে। এর মধ্যে যদি সিটি করপোরেশন নিজেরাই নিজেদের নিয়ম না মানেন, তাহলে অন্য সেবা সংস্থাগুলোকে সিটি করপোরেশনের মনিটরিং করার নৈতিক জোরটাও তো থাকে না।
এই নগরবিদ আরো বলেন, নিজেরা যদি নিজেদের নীতিমালা না মানে, তাহলে বোঝায়ই যায়, জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা বা জনদুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় সরকার আইনে যে দায়িত্ব দেয়া আছে, তা থেকে সিটি করপোরেশন অনেক দূরে অবস্থান করছে। পরামর্শ থাকবে, জুলাই ও আগস্টে যদি কাজের পরিকল্পনা করা হয়, তাহলে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি বা শীতকালে কাজগুলো সুন্দরভাবে করা যাবে। শুধু সিটি করপোরেশনের নিজস্ব কাজ নয়, অন্য সেবা সংস্থাগুলোও আগেই পরিকল্পনা দিয়ে ম্যানেজ করা সম্ভব। তাতে সিটি করপোরেশনের ওপর কাজের গ্যাপ কমে যাবে। কাজের মানও ভালো হবে। এটা খুব সহজ বিষয়। এছাড়া যে ঠিকাদার কাজে দেরি করে, তাদের চিহ্নিত করে কালো তালিকাভুক্ত করে ভবিষ্যতে যেন তাদের কাজ না দেয়া হয়, সেটা দেখতে হবে। যারা শুষ্ক মৌসুমে এবং কাজের মান বজায় রেখে করতে পারবে, তাদের দিয়েই যেন সামনে কাজগুলো করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়